বান্দরবানের রুমা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে র্যাবের গোলাগুলি হয়েছে। এই অভিযানে প্রশিক্ষণরত ১৭ জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছেন র্যাবের সদস্যরা। একই সঙ্গে পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
র্যাবের সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এ বিষয়ে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বান্দরবান র্যাব ক্যাম্পে প্রেস ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানাবেন।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র ১৭ জন সদস্য ও পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের তিন সদস্য রয়েছেন। বান্দরবানের থানচি উপজেলার রেমাক্রি ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ দেশি ও বিদেশি অস্ত্র, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, গোলাবারুদসহ সাত লাখ টাকা উদ্ধার করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে রুমা উপজেলার রেমাক্রি-প্রাংশা ইউনিয়নের ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যবর্তী ধুলীচান ম্রো পাড়া এলাকায় র্যাবের একটি টহলদলকে লক্ষ্য করে গুলি বিনিময়ের এ ঘটনা ঘটে।
র্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বান্দরবানের বিভিন্ন দুর্গম অঞ্চলে প্রশিক্ষণরত জঙ্গিদের আটক করতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় একটি উঁচু পাহাড় থেকে নবগঠিত জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’ এবং স্থানীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘কুকিচিন ন্যাশন্যাল ফ্রন্ট’-এর সদস্যরা অতর্কিতভাবে র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে। আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়।
র্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন মঙ্গলবার দুপুরে থানচিতে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, অভিযান এখনো অব্যাহত আছে। সব জঙ্গিকে আটক না করা পর্যন্ত এ অভিযান চলবে।