২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৫:০০:২৮ অপরাহ্ন
মাঠের বিরোধী দল তৈরি করছে রোডম্যাপ
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৬-০২-২০২৩
মাঠের বিরোধী দল তৈরি করছে রোডম্যাপ

সরকারবিরোধী আন্দোলনের রোডম্যাপ পরিকল্পিতভাবে প্রস্তুত করছে মাঠের বিরোধী দল বিএনপি। ধাপে ধাপে তা বাস্তবায়ন করা হবে। দলটির একাধিক নীতিনির্ধারকের অভিমত, আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নিতে সরকার নানাভাবে উসকানি দিচ্ছে বা দেবে। কিন্তু সেই ফাঁদে এবার বিএনপি পা দেবে না। তাদের লক্ষ্য ধারাবাহিক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তৃণমূল পর্যন্ত নেতাকর্মীদের প্রস্তুত করা। যাতে যেকোনো পরিস্থিতিতে সরকারবিরোধী আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে নেওয়া যায়। যুগপৎ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী দলগুলোকেও একই বার্তা দেওয়া হয়েছে। 


নীতিনির্ধারকরা আরও জানান, বিএনপি চলমান আন্দোলন আরও বিস্তৃত করতে চাইছে। পদযাত্রার মতো ব্যতিক্রমী কর্মসূচিতে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে। রাজধানীসহ দেশের সব মহানগরে পালন করা হয়েছে এ কর্মসূচি। এমনকি সারা দেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে একদিনে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করা হয়। শনিবার ৬৬টি সাংগঠনিক জেলায় একযোগে চলে এ কর্মসূচি। আগামী সপ্তাহে মহানগরের থানায় থানায় এবং পরবর্তীতে উপজেলা পৌর এলাকায় একই কর্মসূচি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। মার্চের শেষের দিকে শুরু হবে পবিত্র রমজান। এবার রোজার মধ্যে ইফতার রাজনীতির পাশাপাশি মাঠের কর্মসূচি অব্যাহত রাখার চিন্তাভাবনা চলছে। পদযাত্রা শেষ করে নতুন কর্মসূচি লংমার্চ করার পরিকল্পনা রয়েছে। শুরুতে সেটা ঢাকামুখী হবে নাকি রাজধানী থেকে বিভিন্ন মহানগরমুখী হবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে। নেতাদের পাশাপাশি যুগপৎ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী দলগুলো কাছ থেকেও নেওয়া হচ্ছে মতামত। 


স্থানীয় সরকারের সাবেক ও বর্তমান প্রতিনিধিদের আন্দোলনে নামাতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি। ১৯৯১ সালের পর থেকে যারা সিটি করপোরেশনের মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন তাদের সঙ্গে ধারাবাহিক মতবিনিময় শুরু করেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আগামী দিনের আন্দোলনে তাদের মতামতের পাশাপাশি রাজপথে থাকার প্রতিশ্রুতিও নেওয়া হচ্ছে। 


প্রকাশ্যে নির্বাচনি প্রস্তুতি না থাকলেও কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে এ কাজটি করা হচ্ছে। নেতাকর্মীদের চাঙা রাখতে প্রতিটি সংসদীয় এলাকায় দেওয়া হচ্ছে কর্মসূচি। নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সম্ভাব্য প্রার্থীদের মাঠে থাকতে বিশেষ বার্তা দেওয়া হচ্ছে। আন্দোলন-সংগ্রামে যারা মাঠে থাকবেন না আগামী নির্বাচনে মনোনয়নের ক্ষেত্রে তাদের মাশুল দিতে হবে। হাইকমান্ডের এমন বার্তা পেয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রায় সবাই নিজ নিজ এলাকায় কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। কোনো কারণে উপস্থিত থাকতে না পারলে তা হাইকমান্ডকে অবহিত করছেন। 

শেয়ার করুন