রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সুমাইয়া সুলতানাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগের পরিপেক্ষিতে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ছাত্র উপদেষ্টা এম তারেক নূর।
এ তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক হলেন পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আশরাফুল ইসলাম খান। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের আবাসিক শিক্ষক ড. মনিকৃষ্ণ মহন্ত এবং সহকারী প্রক্টর ড. সাইকা কবীর নীতু।
তদন্ত কমিটির বিষয়ে ছাত্র উপদেষ্টা বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। আপাতত তাদের দুইজনকে দুই ব্লকে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্তের রিপোর্ট আমাদের হাতে এলে সেটা আমরা শৃঙ্খলা কমিটির কাছে পাঠাব। তদন্ত প্রতিবেদনে নির্যাতনের সত্যতা বেরিয়ে এলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, রাবির বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের এক শিক্ষার্থীকে সাতদিন ধরে বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে একই হলের দোলন নামের এক সিনিয়র শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। এদিকে মঙ্গলবার ২৮ ফেব্রুয়ারি অত্র হলের প্রভোস্ট ড. ফারজানা কাইয়ুম কেয়া ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে তার কক্ষে ডাকেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক এবং অভিযুক্ত দোলন। ভিতরে আলোচনা চলাকালীন এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে দ্রুত তাকে রাজশাহী মেডিকেলে নেওয়া হয়। বর্তমানে সে রামেকের ১৫নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থী নুরুন্নাহার দোলন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি অত্র হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক স্মৃতির ইন্ধনে এমন কাজ করেছেন বলে জানা গেছে।