নিরাপত্তাঝুঁকির কারণে গাজীপুর থেকে হলি আর্টিজান হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি শীর্ষ জঙ্গি নেতা শরিফুল ইসলাম ওরফে তালহাকে রাজশাহীতে পাঠাতে রাজি হয়নি কারাকর্তৃপক্ষ। বাগমারা থানার একটি মামলায় তাকে আজ মঙ্গলবার রাজশাহীর সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে হাজির করার কথা ছিল। কিন্তু কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা চিঠি পাঠিয়ে আদালতকে জানিয়েছেন, নিরাপত্তাঝুঁকির কারণে শরিফুল ইসলামকে জেলখানা থেকে রাজশাহী পাঠানো যাচ্ছে না। ফলে ওই মামলার জন্য পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।
এদিকে, হলি আর্টিজান হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আরেক আসামি আব্দুস সবুর খান ওরফে হাতকাটা মাহফুজকে তানোর থানার একটি মামলায় আদালতে হাজিরার জন্য আনা হয়। আজ দুপুরে রাজশাহীর সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে তাকে হাজির করে পুলিশ। এর আগে সকালে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কঠোর নিরাপত্তাবলয়ের মধ্য দিয়ে বের করা হয় তাকে। সোহেল মাহফুজকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার সময় কারাকর্তৃপক্ষ ভিডিও করে রাখে। পরে আদালত থেকে ফেরার পরও কারাকর্তৃপক্ষ মাহফুজকে গ্রহণেরর সময় ভিডিও ধারণ করে।
আদালত সূত্র জানায়, রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার নীরেন্দ্রনাথ সরকার নামে এক চিকিৎসককে হত্যার পরিকল্পনা করে জঙ্গিরা। এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট থানায় জিডি করেছিলেন নীরেন্দ্রনাথ। ওই জিডির সূত্রধরে প্রথমে আমিনুল ইসলাম ওরফে রুমি ও এনামুল হক ওরফে সবুজকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের দেওয়া তথ্য ডিভাইস পর্যালোচনায় ‘আনসার রাজশাহী’ নামে একটি জঙ্গি সংগঠনের ব্যানারে নীরেনকে হত্যার পরিকল্পনার ছক হাতে পায় পুলিশ। এই পরিকল্পনার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড ছিল শরিফুল ইসলাম ওরফে খালিদ ওরফে তালহা।
আমিনুল, এনামুল ও শরিফুলকে আসামি করে ২০০৯ সালে সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা করে পুলিশ। মামলাটি বর্তমানে রাজশাহীর সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন। এ মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। কিন্তু এ পর্যন্ত ২৯ জন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র ৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে। এ মামলাতে শরিফুলকে রাজশাহীর আদালতে হাজির করার কথা ছিল। কিন্তু নিরাপত্তাঝুঁকি বিবেচনায় কারা কর্তৃপক্ষ তাকে রাজশাহী পাঠাতে রাজি হয়নি।