ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনে সংঘর্ষের ঘটনায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আব্দুল খালেকের প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার ইসি সচিবালয়ের উপসচিব (নির্বাচন প্রশাসন) মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এর আগে ১ জুন রাত সাড়ে ৭টার দিকে জেলা শহরের ধুপাঘাটা নতুন ব্রিজ এলাকায় ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সর্মথকদের মধ্যে ধাওয়াপালটা-ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থীর গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে। এতে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহিদী হিজল ও তার বড় ভাই পিপুলসহ অন্তত ৭ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ও তার বড় ভাইসহ তিনজনের অবস্থা গুরুতর। তাদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর জেলা শহরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও ম্যাজিষ্ট্রেট মোতায়েন করা হয়েছে। হামলার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে অভিযান চালানো হয়।
মেয়র প্রার্থী হিজল অভিযোগ করেন, পৌর এলাকার উদয়পুর গ্রামে জনসংযোগ করে গোবিন্দপুর এলাকায় আসা মাত্র আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আব্দুল খালেকের সর্মথকরা হঠাৎ করে হামলা শুরু করে। এ সময় ইাটপাটকেল নিক্ষেপসহ বেধড়ক মারধর করা হয় তাদের।একপর্যায়ে ধারাল অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করলে গুরুতর আহত হন তিনি। একই সময় তার বড় ভাই পিপুলকেও পিটিয়ে আহত করে হামলাকারীরা।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সর্মথকদের হামলায় আরও অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। নির্বাচনে পরাজয় ঠেকাতে এ ধরনের হামলার ঘটনা ঘটনানো হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। সংঘর্ষের একপর্যায়ে নিজের লাইসেন্স করা পিস্তল দিয়ে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণের কথা স্বীকার করেন মেয়র প্রার্থী হিজল।
উল্লেখ্য, ১৫ জুন ঝিনাইদহ পৌরসভার নির্বাচন। এ নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী চারজন। নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন মো. আব্দুল খালেক, স্বতন্ত্র কাইয়ুৃম শাহারিয়ার জাহিদী হিজল, মিজানুর রহমান মাসুম এবং ইসলামী অন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো. সিরাজুল ইসলাম।