রমজানে ঢাকা শহরে পানির সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে ঢাকা ওয়াসা। এজন্য সব পানি শোধনাগার ও পানির পাম্পসমূহ ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে। লোডশেডিংয়ের সময় পাম্পগুলো ডুয়েল সোর্স বিদ্যুৎলাইন, ফিক্সড জেনারেটর ও মোবাইল জেনারেটরের মাধ্যমে চালু রাখা হবে বলে জানিয়েছেন ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান। গতকাল রাজধানীর কারওয়ানবাজার ওয়াসা ভবনে রমজানে পানি সরবরাহ নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে এক মতবিনিময়সভায় তিনি এসব কথা জানান।
তাকসিম বলেন, চাহিদাকৃত স্থানে দ্রুত পানি সরবরাহে সব জোনাল অফিসে পর্যাপ্ত পানির গাড়ি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া রমজানে গুলিস্তান, ফার্মগেট, মহাখালী, গাবতলী, যাত্রাবাড়ী, কমলাপুর ও সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ডের মতো জনসমাগম স্থানে ইফতার ও সেহরির সময় পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাজধানীর মসজিদগুলোতে পানি সরবরাহের ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে ওয়াসার এমডি বলেন, জরুরি প্রয়োজনে পানি সরবরাহের জন্য ৪৮টি পানির গাড়ি ও ১৭টি ট্রাক্টর প্রস্তুত রাখা হয়েছে। লোডশেডিংয়ের সময় ৩৮০টি ফিক্সড জেনারেটর এবং ১৯টি মোবাইল জেনারেটরের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। অভিযোগ এলে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ‘ওয়াসালিংক-১৬১৬২’ এবং ১১টি অভিযোগকেন্দ্র ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা হবে। পানির পাম্প মনিটরিংয়ের জন্য বিদ্যমান ১০টি অ্যাডভাইজরি ও মনিটরিং টিম তৎপর থাকবে।
তিনি আরও বলেন, রমজান মাসে পানি ব্যবহারের প্যাটার্ন কিছুটা বদলে যায়। এ ছাড়া গ্রীষ্মে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় উৎপাদন ক্ষেত্রবিশেষে কমে যেতে পারে। এ সময় রাজধানীবাসীকে পানি ব্যবহারে মিতব্যয়ী হতে হবে। শুধু টাকা দিয়ে পানি কিনলেই হবে না, সাশ্রয়ীও হতে হবে। ওয়াসার গাড়িতে পানি সরবরাহের সময় বাড়তি টাকা আদায়ের অভিযোগ প্রসঙ্গে তাকসিম বলেন, পানির গাড়ি বাড়তি টাকা চাইলে জানাবেন, সে পরদিন থেকে ঢাকা ওয়াসায় থাকবে না।