টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে রেকর্ড রান তাড়া করে জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা।
সেঞ্চুরিয়নে রোববার ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে দুই দলই মেতে উঠল রানের মহোৎসবে। যেন ‘কেহ কারে নাহি ছাড়ে সমানে সমান।’
৩৯ বলের সেঞ্চুরিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে রেকর্ড পুঁজি এনে দিলেন জনসন চার্লস। কুইন্টন ডি কক জবাব দিলেন ৪৩ বলে সেঞ্চুরি করে।
অসংখ্য রেকর্ডের অবিশ্বাস্য এক ম্যাচে রান তাড়ার রেকর্ড গড়ে সিরিজে সমতা ফেরাল দক্ষিণ আফ্রিকা।
সেঞ্চুরিয়নে রোববার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার জয় ৬ উইকেটে। ২৫৯ রানের লক্ষ্য তারা ছুঁয়ে ফেলে ৭ বল বাকি থাকতেই।
এই সংস্করণে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড এটি। ২০১৮ সালে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৪৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় অস্ট্রেলিয়ার জয় ছিল আগের রেকর্ড।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরিতে ৪৬ বলে ১১ ছক্কা ও ১০ চারে ১১৮ রান করেন চার্লস। সঙ্গে কাইল মেয়ার্সের ২৭ বলে ৫১ ও রোমারিও শেফার্ডের ১৮ বলে অপরাজিত ৪১ রানের সুবাদে টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের সর্বোচ্চ স্কোর পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ক্যারিবিয়ানদের ইনিংসের ২২ ছক্কা টি-টোয়েন্টিতে কোনো দলের সর্বোচ্চ। ২০১৯ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সমান ২২ ছক্কা মেরেছিল আফগানিস্তানও।
জবাবে ডি কক ও রিজা হেনড্রিকসের স্রেফ ৬৫ বলে ১৫২ রানের বিস্ফোরক উদ্বোধনী জুটিই মূলত গড়ে দেয় ব্যবধান।
৪৪ বলে ৮ ছক্কা ও ৯ চারে ১০০ রান করে ম্যাচের সেরা ডি কক। হেনড্রিকস ২৮ বলে ১১ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৬৮ রান।
ম্যাচে দুই দল মিলিয়ে রান হয়েছে ৫১৭, ২০ ওভারের ম্যাচে যা সর্বোচ্চ। পেছনে পড়ে গেছে কিছুদিন আগে পাকিস্তান সুপার লিগে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স ও মুলতান সুলতান্স ম্যাচের ৫১৫ রান।
এই ম্যাচের ৩৫ ছক্কাও রেকর্ড। গত বছর বুলগেরিয়া-সার্বিয়া ম্যাচের ৩৩ ছক্কা ছিল আগের সর্বোচ্চ।
সুপারস্পোর্ট পার্কে বড় লক্ষ্য তাড়ায় আকিল হোসেনের প্রথম দুই বলে দুই চার মেরে শুরু করেন ডি কক। পরের ওভারে শেলডন কটরেলকে তিন ছক্কার সঙ্গে মারেন দুটি চার, এই ওভারে আসে ২৯ রান।
ডি কক ফিফটি পূর্ণ করেন ১৫ বলে ফিফটি, দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে যা দ্রুততম, আগের রেকর্ডটিও ছিল তার, ১৭ বলে।
প্রথম পূর্ণ সদস্য দল হিসেবে পাওয়ার প্লেতে একশ রান তোলার কীর্তি গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। ডি ককের প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি পূর্ণ হয়ে যায় একাদশ ওভারে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২০ ওভারে ২৫৮/৫ (কিং ১, মেয়ার্স ৫১, চার্লস ১১৮, পুরান ২, পাওয়েল ২৮, শেফার্ড ৪১*, স্মিথ ১১*; পার্নেল ৪-০-৪৩-২, মারক্রাম ২-০-২২-০, রাবাদা ৪-০-৩৯-০, ইয়ানসেন ৪-০-৫২-৩, মাগালা ৪-০-৬৭-০, শামসি ২-০-৩৩-০)
দক্ষিণ আফ্রিকা: ১৮.৫ ওভারে ২৫৯/৪ (ডি কক ১০০, হেনড্রিকস ৬৮, রুশো ১৬, মিলার ১০, মারক্রাম ৩৮*, ক্লসেন ১৬*; আকিল ২-০-৩৩-০, কটরেল ১-০-২৯-০, হোল্ডার ৪-০-৪৮-১, শেফার্ড ৩.৫-০-৪৪-০, স্মিথ ২-০-৩৬-১, রিফার ৪-০-৪২-১, পাওয়েল ২-০-২৭-১)