২৩ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার, ০৭:৩৫:৫৫ অপরাহ্ন
কুরআনের ৮ পারায় যা বলা হয়েছে
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩০-০৩-২০২৩
কুরআনের ৮ পারায় যা বলা হয়েছে

★গুনাহের শাস্তি অবশ্যই হবে
 
সুরা আনআমের ১২০ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, তোমরা প্রকাশ্য পাপ কাজ পরিত্যাগ কর এবং পরিত্যাগ কর গোপনীয় পাপ কাজও। যারা পাপ কাজ করে তাদের অতিসত্বরই তাদের মন্দ কাজের প্রতিফল দেওয়া হবে।

★ অপচয়কারীকে আল্লাহতায়ালা অপছন্দ করেন
 
সুরা আনআমের ১৪১ নম্বর আয়াতে বলেন, আর সেই আল্লাহই নানা প্রকার বাগান ও গুল্মলতা সৃষ্টি করেছেন, যার কতক স্বীয় কাণ্ডের ওপর সন্নিবিষ্ট হয়, আর কতক কাণ্ডের ওপর সন্নিবিষ্ট হয় না; আর খেজুর বৃক্ষ ও শস্যক্ষেত্র যাতে বিভিন্ন প্রকারের খাদ্য উৎপন্ন হয়ে থাকে, আর তিনি যাইতুন (জলপাই) ও আনারের (ডালিমের) বৃক্ষও সৃষ্টি করেছেন, যা দৃশ্যত অভিন্ন হলেও স্বাদে বিভিন্ন। এসব ফল তোমরা আহার কর, যখন তাতে ফল ধরে, আর তা হতে শরিয়তের নির্ধারিত যে অংশ রয়েছে তা ফসল কাটার দিন আদায় করে নাও, অপব্যয় করে সীমা লঙ্ঘন কর না। নিশ্চয়ই তিনি (আল্লাহ) অপব্যয়কারী ও সীমা লঙ্ঘনকারীকে ভালোবাসেন না।

★ শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু

সুরা আনআমের ১৪২ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন, আর শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ কর না। নিঃসন্দেহে সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।

★আমাদের ও আমাদের সন্তানদের রিজিক আল্লাহর হাতে

আল্লাহতায়ালা সুরা আনআমের ১৫১ নম্বর আয়াতে বলেন, দারিদ্র্যতার ভয়ে নিজেদের সন্তানদের হত্যা করবে না। কেননা আমিই তোমাদের ও তাদের জীবিকা দিই; আর অশ্লীল কাজ ও কথার নিকটেও যেও না, তা প্রকাশ্যে হোক অথবা গোপনে।

★সর্বদা সঠিক কথা বলা উচিত 

এই সুরার ৫২ নম্বর আয়াতে আল্লাহ পাক বলেন, আর তোমরা যখন কথা বলবে, তখন স্বজনের বিরুদ্ধে হলেও ন্যায়ানুগ কথা বলবে।

★ ইসলাম ধর্ম পালনেই প্রকৃত মুক্তি 

সুরা আনআমের ১৫৩ নম্বর আয়াতে বলা হয়, আর নিশ্চয়ই এই পথই আমার সরল পথ; এই পথই তোমরা অনুসরণ করে চলবে, এই পথ ছাড়া অন্য কোনো পথের অনুসরণ করবে না, তা হলে তোমাদের তার পথ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দূরে সরিয়ে নেবে। আল্লাহ তোমাদের এ নির্দেশ দিচ্ছেন, যেন তোমরা সতর্ক হও।

★ একটি নেকির কাজে দশ গুণ বেশি সওয়াব পাওয়া যায় 

আল্লাহতায়ালা ১৬০ নম্বর আয়াতে বলেন, কেউ কোনো ভালো কাজ করলে সে তার দশ গুণ প্রতিদান পাবে, আর কেউ পাপ ও অসৎ কাজ করলে তাকে শুধু ততটুকুই প্রতিফল দেওয়া হবে যতটুকু সে করেছে, আর তারা অত্যাচারিত হবে না।

★কেয়ামতে কেউ কারো পাপ নিজ কাঁধে নিবে না 

 ১৬৪ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, প্রত্যেক ব্যক্তিই স্বীয় কৃতকর্মের জন্য দায়ী হবে, কেউ কারও কোনো বোঝা বহন করবে না। পরিশেষে তোমাদের রবের নিকট তোমাদের প্রত্যাবর্তন করতে হবে। অতঃপর তিনি তোমরা যে বিষয়ে মতবিরোধ করেছিলে, সে বিষয়ের মূল কথা তোমাদের অবহিত করবেন।

★ শয়তানের ধোঁকা থেকে সর্বদা সতর্ক থাকা উচিত 

সুরা আ'রাফের ১৬, ১৭ ও ১৮ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, (ইবলিস) বলল: আপনি যে আমাকে পথভ্রষ্ট করলেন, এ কারণে আমিও শপথ করে বলছি- আমি আপনার সরল পথে অবশ্যই ওঁৎ পেতে বসে থাকব।

অতঃপর আমি তাদের সম্মুখ দিয়ে, পেছন দিয়ে, ডান দিক দিয়ে এবং বাম দিক দিয়ে তাদের কাছে আসব। আপনি তাদের অধিকাংশকেই কৃতজ্ঞ পাবেন না।

তিনি (আল্লাহ) বললেন, তুই এখান থেকে অপমানিত ও লাঞ্ছিত অবস্থায় বের হয়ে যা, তাদের (বনি আদমের) মধ্যে যারা তোর অনুসরণ করবে, নিশ্চয়ই আমি তোদের সকলের দ্বারা জাহান্নাম পূর্ণ করব।

★ খানাপিনায় সীমা লঙ্ঘন কর না

আল্লাহ সুরা আরাফের ৩১ নম্বর আয়াতে বলেন, আর খাও এবং পান কর, তবে অপব্যয় ও অপচয় করবে না। নিশ্চয়ই আল্লাহ অপব্যয়কারীদের ভালোবাসেন না।

★ ভয় ও আশা নিয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করা উচিত
 
এই সুরার ৫৬ নম্বর আয়াতে আল্লাহতায়ালা বলেন, দুনিয়ায় শান্তিশৃঙ্খলা স্থাপনের পর বিপর্যয় ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি কর না। আল্লাহকে ভয়ভীতি ও আশা আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে ডাক। নিঃসন্দেহে আল্লাহর রহমত সৎকর্মশীলদের অতিসন্নিকটে।

★ ওজনে কম দেওয়া অনুচিত 

আল্লাহ সুরা আরাফের ৮৫ নম্বর আয়াতে বলেন, সুতরাং তোমরা ওজন ও পরিমাণ পূর্ণ মাত্রায় দেবে, মানুষকে তাদের প্রাপ্য বস্তু কম দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করবে না।

দ্বীনিয়াত বাংলাদেশের গবেষণা বিভাগ থেকে অনূদিত

শেয়ার করুন