২৩ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১০:০৮:০১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে নতুন করে ৪২০ টি ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের বাড়ীর চাবি ও দলিল হস্তান্তর সাঁথিয়ায় ডাক বিভাগের পিকআপ ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত-২ মাদারীপুরের শিবপুরে বাস খাদে, নিহত ১৭, আহত ৩০ কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন চিত্রনায়িকা মাহি তাহেরপুর পৌর আ.লীগের দলীয় পদ থেকে মুনসুর ও মেয়র কালামকে অব্যাহতি রাজশাহী বঙ্গবন্ধু কলেজে ১৭ শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ ধরে ফেলায় হাজিরা খাতা গায়েব জাতির পিতার মানবিকতা ও মানুষের প্রতি দরদ শিশুকালেই জানা গেছে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মদিন আজ জামিন পেলেন সাবেক এমপি আরজু
মামা আমার মেয়েটার মুখ আর দেখা হলো না
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৫-০৬-২০২২
মামা আমার মেয়েটার মুখ আর দেখা হলো না

‘আমার শরীর পুড়ে গেছে। আমি হয়তো আর ফিরব না। আমার কলিজা মেয়েটার মুখ আর দেখা হবে না মামা। তুমি একটু দেখে রাখিও।’ মৃত্যুর আগে মামা মির হোসেনকে ফোন করে এসব কথা বলেছিলেন কুমিরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের নার্সিং অ্যাটেনডেন্ট কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান (৩২)। তিনি শনিবার (০৪ জুন) রাত ৯টার দিকে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে গিয়ে মারা গেছেন।

মৃত্যুর আগে ভাগনের বলা কথাগুলো উচ্চারণ করে হাউমাউ করে কাঁদছেন মামা মির হোসেন। তার আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিবেশ।

শনিবার রাতে সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে কুমিরা ফায়ার স্টেশনের নার্সিং অ্যাটেনডেন্ট কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামানও (৩২) রয়েছেন। তিনি কুমিল্লার লাঙ্গলকোট থানার সাতবাড়িয়া এলাকার শামসুল হকের ছেলে।

মনিরের বড় মামা মির হোসেন সকালে হাসপাতালে এসে ভাগনের মরদেহ শনাক্ত করেন। মনির আট বছর আগে ফায়ার সার্ভিসে কর্মজীবন শুরু করেন। গেল দুই মাস আগে তিনি কুমিরা ফায়ার স্টেশনে যোগদান করেন। তার দুই মাস বয়সী এক কন্যাসন্তান রয়েছে।

মির হোসেন বলেন, দুদিন আগে কুমিরায় গিয়ে মনিরের সঙ্গে সারা দিন ঘুরেছি। অনেক আড্ডা দিয়েছি। সকালে ফোন করে তাকে পাচ্ছিলাম না। তাই হাসপাতালে ছুটে এসেছি। আমি তাকে চিনতে পেরেছি, সে আমাদের ছেড়ে চলে গেছে। কথাগুলো বলেই তিনি আবারও কান্নায় ভেঙে পড়েন।

সময় যত যাচ্ছে দগ্ধ রোগী আর স্বজনদের আহাজারি ততই বাড়ছে। হাসপাতালে বাড়তি রোগীর চাপ সামলাতে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যসেবীর সঙ্গে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছেন।

শেয়ার করুন