১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১০:০১:২০ পূর্বাহ্ন
ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় সরকার প্রস্তুত: প্রতিমন্ত্রী
  • আপডেট করা হয়েছে : ১০-০৫-২০২৩
ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় সরকার প্রস্তুত: প্রতিমন্ত্রী

ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ সুপার সাইক্লোনে রূপ নিতে পারে এবং এটি ১৪ মে নাগাদ বাংলাদেশের কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় সরকার সবদিক থেকেই প্রস্তুত আছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার বিকালে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রতিমন্ত্রী এসব কথা জানান।

তিনি বলেন, এটা সুপার সাইক্লোন হবে, এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এটি ১৩ মে রাত থেকে ১৪ মে সকালের মধ্যে আঘাত হানতে পারে। বাংলাদেশের কক্সবাজারে এটি আঘাত হানতে পারে। বিশেষ করে সেন্ট মার্টিনের নিচু এলাকায় আঘাত হানতে পারে। রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ি ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার একটা আশঙ্কা আছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা সবদিক থেকেই প্রস্তুত আছি। প্রতিবারের মতো ইনশাআল্লাহ, এবারও ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা করতে পারব। সেনা, নৌ, কোস্টগার্ড প্রস্তুত আছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তৃতীয় বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নিম্নচাপটি আজ (বুধবার) দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫১৫ কি.মি. দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪৩৫ কি.মি. দক্ষিণে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫১০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪৬৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে আগামীকাল পর্যন্ত উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে এবং পরবর্তীতে দিক পরিবর্তন করে ক্রমান্বয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে। 

এতে আরও বলা হয়, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কি.মি.। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে৷

এদিকে বুধবার দুপুরে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলেন, গভীর নিম্নচাপটি ঘণীভূত হচ্ছে। সেটি পর্যায়ক্রমে ঘূর্ণিঝড় থেকে তীব্র ঘূর্ণিঝড় ও অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আজকে (বুধবার) সন্ধ্যা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়, আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) সকালে তীব্র ঘূর্ণিঝড় এবং দিবাগত ভোররাতে অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা আমরা দেখছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এখন যে গতি তাতে ১৪ মে সন্ধ্যায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে। তবে এর মধ্যে গতি বাড়তে বা কমতেও পারে বলে আভাস দিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা। 

শেয়ার করুন