উন্নয়ন পরিকল্পনায় সাধারণ মানুষের অংশ গ্রহণ না থাকায় উন্নয়ন বলতে কংক্রিটের জঞ্জাল তৈরি হচ্ছে। উন্নয়নের নামে নদী দখলের পরিকল্পনা হচ্ছে। নীতি নির্ধারকেরা নদীর প্রস্থ কমিয়ে আনার নানা পরিকল্পনা করছেন। নদী বক্ষে নগর তৈরির পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। যা আত্মঘাতি পরিকল্পনা।
এসব নদী মেরে ফেলার পায়তারা। একই সাথে জীব বৈচিত্র ধ্বংশের আয়োজন চলছে। ৫০ তম বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে রোববার রাজশাহী অলকার মোড়ে রিক্সা র্যালি ও গণসমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
পরিবর্তন রাজশাহী, বাংলাদেশ বৈদেশিক কর্ম বিষয়ক কর্মজোট(বিডাব্লুজিইডি) উপকুলীয় জীবন যাত্রা ও পরিবেশ বিষয়ক কর্মজোট এবং এশিয়ান পিপলস মুভমেন্ট অন ডেট এন্ড ডেভেলেপমেন্ট (এপিএমডিডি) এই ৪ টি সংগঠনের আয়োজনে এ র্যালী ও সমাবেশে বক্তাব্য দেন নাগরীক নেতা রুলফাও পরিচালক আফজাল হোসেন, জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির পরিচালক লিগ্যাল অ্যাডভেকেট দিল সেতারা চুনি, পরিবর্তন পরিচালক রাশেদ রিপন, মহিলা পরিষদ জেলা সাধারণ সম্পাদক অঞ্জনা রায়, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারপার্সন মর্জিনা পারভীন, অগ্নী প্রকল্পের সমন্বয়কারী হাসিবুল হাসান।
হানিফ খন্দকার বক্তারা আরো বলেন, বিশ্বের ২৫ টি শিল্প উন্নত ধনী রাষ্ট্র যারা পৃথিবী অর্ধেক পরিবেশ দূষনের জন্য দায়ি। বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে হলে প্লাষ্টিক পরিহার করতে হবে। প্রতি বছরবিশ্বে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন টন প্লাষ্টিক উৎপাদন করা হয়, যার অর্ধেকই মাত্র একবার ব্যাহার করে ফেলে দেয়া হয়, যা আমাদের জীবন জীবিকার উপর প্রভাব ফেলছে। নদ-নদী পুকুর-জলাশয় সাগর-হ্রদ দূষিত করে তুলেছে। সচেতনতাই শুধু পারে এর থেকে পরিত্রাণ দিতে। পরিচ্ছন্ন জ্বালানির আওতায় উন্নত প্রযুক্তির নামে আমদানি নির্ভর এলএনজি (তরল হাইড্রোজেন এ্যামোনিয়া ও কার্বন সংরক্ষন প্রযুক্তি প্রবর্তনও জনসাধারনের জীবন জীবিকার উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।
পাশাপাশি জীবাশ্ব জ্বালাীর ব্যাবহার দিনে দিনে যে হারে বাড়ছে তাতে পরিবেশ বিপর্যয় অনিবার্য।আমাদেরকে নবায়নযোগ্য জ্বালানীর দিকে অগ্রসর হতে হবে। ইতোমধ্যে সরকার এ বিষয়ে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহন করছে। আমরা চাই প্রকল্পের সথাযথ বাস্তবায়ন। বিশেষ করে মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপারিটি প্লান (এমসিপিপি) অনুযায়ি আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০% ২০৪১ সালের মধ্যে ৫০% এবং ২০৫০ সালের মধ্যে শতভাগ নবায়ন যোগ্য জ্বালানীতে পৌছাতে চাই। সমাবেশ শেষে রিক্সা র্যারীর আয়োজন করা হয়।