২২ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ০১:৫০:৪৫ পূর্বাহ্ন
ডিএনসিসির ৮ কোরবানির পশুর হাটে থাকবে ডিজিটাল লেনদেন
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৯-০৬-২০২৩
ডিএনসিসির ৮ কোরবানির পশুর হাটে থাকবে ডিজিটাল লেনদেন

স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট হাট’ স্লোগানে ডিএনসিসির ৮টি কোরবানির অস্থায়ী পশুর হাটে ডিজিটাল পদ্ধতিতে লেনদেন ব্যবস্থা থাকবে, আর এই হাটগুলোই হবে স্মার্ট হাট।


সোমবার (১৯ জুন) বনানীর হোটেল শেরাটনে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ স্মার্ট হাট’ বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।


তিনি বলেন, আমরা ধীরে ধীরে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে যাচ্ছি। এরই অংশ হিসেবে সব লেনদেন হবে স্মার্টলি। তেমনি কোরবানির পশুর হাটে আমরা ক্যাশলেস লেনদেন করতে পারবো।


ইতোমধ্যে ১০ হাজার খামারির অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে এই লেনদেনের জন্য। সেক্ষেত্রে টাকা নিয়ে আমাদের আর হাটে যেতে হবে না, গরুর মালিকরাও টাকা নিয়ে বাড়ির ফেরার সময় সমস্যায় পড়বে না। কারণ লেনদেন হবে ডিজিটালি।


আতিকুল ইসলাম বলেন, কোরবানির পশুর হাটে ডিজিটাল লেনদেন চালুকরণ এবং প্রান্তিক পশু বিক্রেতাদেরকে ব্যক্তিক রিটেইল হিসাবের মাধ্যমে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে ২০২২ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক এই উদ্যোগের পাইলট কার্যক্রম গ্রহণ করে, যেখানে ৩৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়। এবার আমাদের লেনদেন টার্গেট দেড়শ কোটি টাকা।


জানা গেছে, ডিএনসিসির আওতাধীন কোরবানির অস্থায়ী পশুর হাটগুলোর মধ্যে যে ৮ টি হাট স্মার্ট হাট হিসেবে ডিজিটালি লেনদেন হবে।


এগুলোর মধ্যে রয়েছে- উত্তরা দিয়াবাড়ি ১৬ ও ১৮ নং সেক্টরসংলগ্ন বউ বাজার এলাকার খালি জায়গা, ভাটারা (সাইদ নগর) সংলগ্ন খালি জায়গা, কাওলা শিয়াল ডাঙ্গা সংলগ্ন খালি জায়গা,বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিং আফতাব নগরস্থ ব্লক-ই, এফ, জি, এইচ পর্যন্ত (যা সাবেক বাড্ডা ইউনিয়ন পরিষদের অংশ), মোহাম্মদপুর বছিলায় ৪০ ফুট রাস্তা সংলগ্ন খালি জায়গা, মিরপুর গাবতলী গবাদি পশুর হাট, মিরপুর সেকশন-৬, ওয়ার্ড নং-৬ (ইস্টার্ন হাউজিং) এর খালি জায়গা এবং ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের খেলার মাঠের খালি জায়গায় বসা হাট।


আয়োজকরা জানিয়েছেন, ২০২৩ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’ উদ্যোগের আওতাধীন এই কার্যক্রমটিতে ২৬টি জেলার পশু বিক্রেতাদেরকে ব্যক্তিক রিটেইল হিসাব খোলার বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে।


মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সার্বিক সহায়তায় তৃণমূল পর্যায়ে পশু বিক্রেতাদেরকে আর্থিক পরিষেবার আওতায় আনতে এবং সাধারণ ক্রেতাদের সর্বপর্যায়ে ডিজিটাল লেনদেনের সুযোগ সৃষ্টিতে বাংলাদেশ ব্যাংক কোরবানির পশুর হাটে ডিজিটাল পদ্ধতিতে লেনদেন (বিশেষত বাংলা কিউআর) প্রসারের এই কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।


১০টি ব্যাংকের মধ্যে এবি ব্যাংক লিমিটেড, ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড, ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি, ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড, পূবালী ব্যাংক লিমিটেড, দ্যা সিটি ব্যাংক লিমিটেড এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি, ৩টি আন্তর্জাতিক পেমেন্ট স্কিম (এমেক্স, মাস্টারকার্ড ও ভিসা), ০৪টি এমএফএস প্রোভাইডার (বিকাশ, নগদ, উপায় ও এমক্যাশ) সচেতনমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।


শেয়ার করুন