রেল সচিব ড. হুমায়ুন কবির বলেছেন, পদ্মা সেতু দিয়ে আগামী বছরের মধ্যে বেনাপোল-ঢাকা রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হবে। এতে সব শ্রেণির যাত্রীরা ছাড়াও ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াতকারীরা স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াত করতে পারবেন।
শুক্রবার বেনাপোল রেলস্টেশন পরিদর্শনকালে রেল সচিব আরও বলেন, রেলে দিন দিন বাণিজ্য ও ভ্রমণে আগ্রহ বাড়ছে মানুষের। এতে বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনকে আধুনিকায়ন ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড সম্প্রসারণ করা হবে। পাশাপাশি যাত্রী সেবার মান বাড়ানোর লক্ষ্যে বেনাপোল রেলস্টেশনে যাত্রী বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হবে। বহিরাগতরা যাতে স্টেশন এলাকায় প্রবেশ করতে না পারেন সেজন্য নজরদারিও বাড়ানো হবে।
বেনাপোল রেলস্টেশন পরিদর্শনকালে রেল সচিবের সঙ্গে ছিলেন, রেলওয়ে রাজশাহী অঞ্চলের চিফ ইঞ্জিনিয়ার আসাদুজ্জামান, যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান, বেনাপোল কাস্টমস হাউজের ডেপুটি কমিশনার তানভীর আহম্মেদ, ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর সেলিমুদ্দোজা, শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নারায়ন চন্দ্র পাল, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা ইসলাম, রেলওয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মোর্শেদ আলম। সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান সজন প্রমুখ।
বেনাপোল বন্দর ব্যবহারকারীরা জানান, বর্তমানে বেনাপোল বন্দর দিয়ে রেল পথে ভারতের সঙ্গে আমদানি বাণিজ্য ও যাত্রী পরিবহন হয়ে থাকে। এছাড়া অভ্যন্তরীণ রুটেও রেল চলছে। আগে রেলে শুধুমাত্র সার ও পাথর জাতীয় পণ্য আমদানি হলেও বর্তমানে সব ধরনের পণ্য আসছে রেল পথে। এতে সরকারের রাজস্বও বাড়ছে। তবে বেনাপোল রেলষ্টেশনে পণ্য খালাসের জন্য ইয়ার্ড না থাকায় এসমস্ত পণ্য রেল থেকে আনলোড করতে ভোগান্তি পেতে হয়। সড়কের বেহাল দশা থাকায় পণ্য খালাস ও ট্রাক চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। ইতিপূর্বে কিছু উন্নয়ন হলেও তা প্রয়োজনের চাইতে অনেক কম। রেলসচিব বলেন, প্রয়োজনীয় সকল সুবিধা নিশ্চিত করা হবে এখানে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, রেল ক্ষাতকে সম্প্রসারণ করা হলে বর্তমানে যে পরিমাণ পণ্য আমদানি ও রাজস্ব আসছে তখন তার দ্বিগুণ আসবে।