আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে ব্যাটিং নিয়ে চিন্তার কথা শোনান বাংলাদেশ কোচ হাসান তিলকরত্নে। তবে তিনি আত্মবিশ্বাসী ছিলেন আজ সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে ব্যাটিংয়ে ঘুরে দাঁড়াবে দল। কোচের কথা শুনেছেন ব্যাটাররা। অন্তত দুই ওপেনারের কথা তো বলাই যায়।
শামীমা সুলতানা ও ফারজানা হক পিংকি ওপেনিং জুটিতে যোগ করেন ৯৩ রান। ওপেনিং জুটিতে এর চেয়ে বেশি রান বাংলাদেশের মেয়েরা করেছেন আর মাত্র একবার, ২০১১ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। শারমীন আক্তার ও শুকতারা রহমান মিলে ১১৩ রানের জুটি গড়েন। জুটির রেকর্ড না হলেও ঠিকই রেকর্ডের পাতায় নাম লিখিয়েছেন ফারজানা হক। ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের মেয়েদের প্রথম সেঞ্চুরিটি এসেছে তাঁর ব্যাট থেকেই।
শামীমার ৫২ ও ফারজানার ১০৫ রানের সৌজন্যে ভারতের মেয়েদের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে বড় সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাটিং করে স্বাগতিকেরা ৪ উইকেট হারিয়ে করেছে ২২৩ রান। বাংলাদেশের ইনিংসের সুর বেঁধে দিয়েছেন মূলত দুই ওপেনার। ফারজানা এ সময় কিছুটা রয়েসয়ে খেলেন। শামীমা ৭৮ বলে ৫২ রান সংগ্রহের পর হাত খুলতে শুরু করেন ফারজানা। শামিমার ইনিংসে ৫টি চারের মার রয়েছে।
শামীমার আউটের পর অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির সঙ্গে ৭১ রান যোগ করেন ফারজানা। জ্যোতি ৩৬ বলে ২৪ রান করে স্নেহা রানার বলে আউট হন। এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি রিতু মণি। ২ রান করে দেবিকা বিদ্যার বলে ফেরেন তিনি। সোবহানা মোস্তারির সঙ্গে জুটিতে সেঞ্চুরি তুলে নেন ফারজানা। তাঁর ১০৫ রানের ইনিংস থেমেছে ইনিংসের একদম শেষ বলে, রানআউট হয়ে। এর আগে নিজের সঙ্গে দলকেও রাঙিয়েছেন ফারজানা। ১৬০ বলে তাঁর সেঞ্চুরি ইনিংসে মাত্র ৬টি চারের মার। শেষ দিকে সোবহানার ২২ বলে ২৩ রানের ইনিংস বাংলাদেশের স্কোরকে সমৃদ্ধ করেছে।