বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গায়েবি ও মিথ্যা মামলায় বেআইনিভাবে বিএনপি নেতাকর্মীদের কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছে। এভাবে নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে, গুলি করে, গ্রেফতার করে, নির্যাতন চালিয়ে ও কারান্তরীণ রেখে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখা যাবে না। বরং বেআইনি কর্মকাণ্ডের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ অবৈধ সরকারকে জবাবদিহিতার মুখোমুখি দাঁড়াতেই হবে।
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিবৃতিতে উদ্বেগ জানানোর পাশাপাশি সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
ফখরুল বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা ও জামিনের পরেও পুরোনো মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে বন্দি রাখা সম্পূর্ণ অমানবিক ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক। বিএনপিসহ বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমিয়ে রাখতে অবৈধ সরকার নিরবচ্ছিন্নভাবে এ ধরনের ন্যক্কারজনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, মানুষের ভোটাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাসহ সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসনের বিরুদ্ধে রাজপথে জনতার বিপুল ঢল দেখে দিশেহারা হয়ে বিরোধী দলগুলোকে নির্মূলের ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিএনপির বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমেদ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) আকন কুদ্দুসুর রহমান, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক শফিকুল হক মিলন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উদবাতুল বারী আবু, গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি শওকত হোসেন সরকার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনু, বগুড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর হেনা, নীলফামারী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম, ফেনী জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আলাল উদ্দিন আলাল, যুগ্ম আহবায়ক ইয়াকুব নবী, বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুস সালামসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে কারাগারে বন্দী রাখার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়ে এই বিবৃতি দেন বিএনপি মহাসচিব। বিবৃতিতে অবিলম্বে কারাবন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেছেন তিনি।