২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ১২:৩০:৫৫ অপরাহ্ন
ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বলায় সরকার ক্ষিপ্ত: নুর
  • আপডেট করা হয়েছে : ১২-০৮-২০২৩
ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বলায় সরকার ক্ষিপ্ত: নুর

গণ অধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘প্রতিনিয়ত এই সরকারের অন্যায়-অবিচার, দুর্নীতি-দুঃশাসন নিয়ে রাজপথে সোচ্চার থাকা এবং এই সরকারের ফাদার-মাদার যারা সেই ভারতীয় আগ্রাসন ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কথা বলায় সরকার আমার ওপর ক্ষিপ্ত।’ 


শুক্রবার (১১ আগস্ট) বিকেলে গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ডাকসুর সাবেক ভিপি, গণ অধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুরকে হত্যা চেষ্টার উদ্দেশ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লাসহ গ্রেপ্তার সকল রাজবন্দীদের মুক্তি ও যুগপৎ আন্দোলনের এক দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও গণমিছিলে এসব কথা বলেন তিনি। 


নুর বলেন, আওয়ামী লীগ মুখে অসাম্প্রদায়িকতার কথা বললেও অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতে এখন ভারতের সাম্প্রদায়িক দল বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। কিছুদিন আগে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল ভারতে গেছে, ক্ষমতায় থাকতে ভারতের সাম্প্রদায়িক দল বিজেপির সঙ্গে চুক্তি করেছে। তাঁরা যেন আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আনে। তাই এদের হাতে এখন আর দেশ-জনগণ, দেশের মানুষের ধর্ম-কর্ম নিরাপদ নয়। 


নুর আরও বলেন, ‘এসব কারণে বারবার আমার ও আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করে। আমাদের ছাত্র, যুব, শ্রমিকসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের প্রতি নজরদারি, হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। হামলা-মামলা, হুমকি-ধমকি দিয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকা যাবে না। নিজেদের সেইফ এক্সিটের জন্য হলেও অনতিবিলম্বে ছাত্র নেতা বিন ইয়ামিন মোল্লা, গোপালগঞ্জের ছাত্রনেতা ঈসমাইলসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করুন। অনতিবিলম্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন দিন।’ 



বিক্ষোভ সমাবেশে সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার জন্য বিদেশিদের কাছে ধরনা ধরা শুরু করেছে। তবে এইবার আর বিদেশি হস্তক্ষেপে ক্ষমতা থাকা যাবে না। এইবার গণ-আন্দোলনের মাধ্যমেই আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল না করে নতুন নাটক শুরু করেছে। কোনো নিপীড়নমূলক আইন মানা হবে না। নির্বাচন কমিশন নামসর্বস্বদের নিবন্ধন দিয়েছে, ভুঁইফোড় পর্যবেক্ষক সংস্থাকে পর্যবেক্ষক করার অনুমোদন দিয়েছে। নির্বাচন কমিশন অবৈধ সরকারকে আবারও ক্ষমতা আনার চেষ্টা করলে, এই নির্বাচন কমিশনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আসবে। সুতরাং ১৪ ও ১৮ মার্কা নির্বাচন করার পাঁয়তারা করবেন না। 


রাশেদ খান বলেন, ‘আজকে ঢাকা শহরে সরকারের পদত্যাগের দাবিতে গণমিছিল হয়েছে, এই গণমিছিল অচিরেই গণ-অভ্যুত্থানে রূপ নেবে। এ জন্য আমাদের সকলকে রাজপথে থাকতে হবে। আওয়ামী লীগের পতনে রাজপথে থাকার বিকল্প নাই। কোনো বিদেশি শক্তির হস্তক্ষেপে ক্ষমতার পালাবদল হলে, আমাদের সারা জীবন মেরুদণ্ডহীন থাকতে হবে। সুতরাং স্বাবলম্বী জাতি হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে শ্রীলঙ্কার জনগণের মতো রাজপথেই মুক্তির আন্দোলন গড়ে তুলে সরকারের পতন নিশ্চিত করতে হবে।’ 


বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে পল্টন কার্যালয়ের সামনে থেকে গণমিছিল শুরু হয়ে ফকিরাপুল, নয়াপল্টন, নাইটিঙ্গেল মোড়, বিজয়নগর, গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট ঘুরে পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়। গণ মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশে দলটির বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


শেয়ার করুন