২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ০৪:৫৪:১৬ পূর্বাহ্ন
ঝিনাইদহে পূর্ব বিরোধের জেরে হামলার অভিযোগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ আহত ২
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৪-০৮-২০২৩
ঝিনাইদহে পূর্ব বিরোধের জেরে হামলার অভিযোগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ আহত ২

ঝিনাইদহ সদরের নলডাঙ্গা কালীতলা মোড় এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ দুজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পূর্ব বিরোধের জেরে এ হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আহতরা হলেন, সদর উপজেলার খড়াশুনী গ্রামের লিয়াকত আলী বিশ্বাসের ছেলে ও নলডাঙ্গা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হযরত বিশ্বাস (৩৫) এবং একই গ্রামের শফি উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে ও নলডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য সীমা খান (৫৩)। 


ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, পূর্ব বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে। 


এদিকে এ ঘটনার পর আহতদের দেখতে এসে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে রাত ১০টার দিকে সদর হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে নলডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল বিশ্বাসের স্ত্রী বেবী নাজনীন ও সাবেক চেয়ারম্যান কবির হোসেন মারামারিতে জড়ান। এতে আহত হন বেবী নাজনীন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।


স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সদর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নে রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছে সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা কবির হোসেন এবং কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ কর্মী এমদাদুল হক সোহাগের মধ্যে। এরই জেরে কবির হোসেনের সমর্থক হযরত বিশ্বাস ও সীমা খান রাতে নলডাঙ্গা বাজারের দোকান থেকে বাড়ি ফেরার সময় কালীতলা মোড়ে পৌঁছালে প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। পরে তাঁদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 


নলডাঙ্গা ইউনিয়নে পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কবির হোসেন বলেন, ‘আমার সমর্থক হযরত ও সীমা বাজার থেকে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিল। তাদের টার্গেট করে মেরেছে প্রতিপক্ষ সোহাগের লোকজন। হাসপাতালের ভেতরে সাবেক চেয়ারম্যানের স্ত্রী আমাকে আগে মেরেছে এরপর আমি ঠেকিয়েছি। পড়ে পড়ে তো মার খেতে পারি না।’


এসব অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগ কর্মী এমদাদুল হক সোহাগ বলেন, ‘আমি কোনো গ্রপিংয়ে নেই। আমি উপজেলার রাজনীতি করি। নলডাঙ্গার মারামারির সঙ্গে আমি সংশ্লিষ্ট না। শত্রুতা করে কেউ আমার নাম ব্যবহার করছে।’


ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুলতানা মেফতাহুল জান্নাত বলেন, হযরত বিশ্বাস ও সীমা খানের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাটার ক্ষত আছে। এদের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক।


শেয়ার করুন