২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ০৫:৪৬:৪৭ অপরাহ্ন
আরও ২ লাখ ৯ হাজার নারী-শিশু ভাতার আওতায় আসছে
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-০৬-২০২২
আরও ২ লাখ ৯ হাজার নারী-শিশু ভাতার আওতায় আসছে

প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতায় মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচিকে সর্বোত্তম বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করে এবারের জাতীয় বাজেটে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে।এ কর্মসূচিকে প্রাধান্য দিয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরে উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়িয়ে ১২ লাখ ৫৪ হাজারে উন্নীত করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। যা গত অর্থবছরে উপকারভোগীর সংখ্যা রাখা হয়েছিল ১০ লাখ ৪৫ হাজার। 

ফলে ২০২২-২৩ অর্থবছরে উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়বে ২ লাখ ৯ হাজার। এজন্য এই খাতের জন্য ১ হাজার ২৪৩ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। 

বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় সংসদে তিনি বাজেট উত্থাপন শুরু করেন। 

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে স্বাধীন বাংলাদেশের ৫১তম বাজেটের মূল স্লোগান কোভিডের অভিঘাত কাটিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন। যেখানে মূল লক্ষ্য সক্ষমতার উন্নয়ন। 

বৈশ্বিক ঝুঁকি কাটিয়ে অর্থনীতির স্থিতিশীলতার সঙ্গে জনজীবনে স্বস্তি ফেরানোই এবারের বাজেটের মূল লক্ষ্য।

অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তব্যে বলেন, ‘সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতাভুক্ত বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা ও প্রতিবন্ধী উপবৃত্তি কার্যক্রমে এবং দারিদ্র্য নিরসন কর্মসূচির আওতায় পল্লী ও শহর সমাজসেবা কার্যক্রম, এসিডদগ্ধ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পুনর্বাসনে শতকরা ৫০ ভাগ নারী এবং বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা দুস্থ মহিলা ভাতা এবং পল্লী মাতৃকেন্দ্র কার্যক্রমে শতকরা ১০০ ভাগ নারী অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণের কার্যক্রমগুলোতে নারীর অন্তর্ভুক্তি বাধ্যতামূলক থাকায় এগুলো বার্ষিক গড়ে ১.২০ লাখ নারীর ক্ষমতায়ন, সামাজিক সুরক্ষা বৃদ্ধি, আত্মকর্মসংস্থান, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রাপ্তি, আয়বর্ধক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ, নিজস্ব পুঁজি এবং সরকারি সম্পদ ও সেবা লাভের সুযোগ সৃষ্টিতে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখছে। সামাজিক অপরাধপ্রবণ নারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ছয়টি কেন্দ্রের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে ভরণ-পোষণ, প্রশিক্ষণ, শিক্ষা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘এতিম শিশুদের খোরাকি ভাতা জানুয়ারি ২০২২ থেকে ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করে মাসিক জনপ্রতি ৪ হাজার টাকা হারে দেওয়া হয়েছে। শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রগুলোর মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত বিপন্ন শিশুদের সেবা প্রদান করে পরিবার বা নিকটাত্মীয় বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে পুনঃএকত্রীকরণ ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা হচ্ছে। বর্তমানে কেন্দ্রগুলোতে মোট ২ হাজার ২৯১ জন (১ হাজার ৮৮ জন ছেলে এবং ১ হাজার ২০৩ জন মেয়ে) শিশু অবস্থান করছে।’

শেয়ার করুন