রাশিয়ার কাছ থেকে প্রথম চালানে দুটি সুখোই যুদ্ধবিমান পেয়েছে মিয়ানমার। দেশটি রাশিয়ার কাছ থেকে আরও চারটি সুখোই যুদ্ধবিমান পাবে। দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী চার্লি থান রুশ সংবাদ সংস্থা আরআইএকে এ তথ্য জানিয়েছেন। পরে আরআইএ’র বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
রাশিয়ার বন্দরনগরী ভ্লাদিভস্টকে চলমান ইস্টার্ন ইকোনমিক ফোরামের সাইডলাইন বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়া মিয়ানমারের বাণিজ্যমন্ত্রী চার্লি থান বলেন, ‘এরই মধ্যে দুটি যুদ্ধবিমানের চালান মিয়ানমারে পৌঁছেছে।’ রাশিয়া প্রতিবছর মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে এই ফোরামের আয়োজন করে থাকে।
আরআইএ প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের প্রধান মিন অং হ্লাইং রাশিয়া সফরে গেলে দেশটির সঙ্গে সুখোইয়ের এসইউ-৩০এসএমই যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি করে। সে সময় দেশটি রাশিয়ার কাছ থেকে ৬টি যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি করেছিল।
রুশ রাষ্ট্রায়ত্ত অস্ত্র রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান রোসোবোরনএক্সপোর্টের মতে, রাশিয়ার তৈরি সুখোই এসইউ-৩০ এসএমই যুদ্ধবিমানগুলো আকাশ থেকে ভূমিতে, আকাশ থেকে আকাশে আক্রমণের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া, অন্য কোনো যুদ্ধবিমান থেকে পাইলট পুনরুদ্ধার, পাইলট প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন কাজেও ব্যবহার করা যায়।
এদিকে, চার্লি থান জানিয়েছেন—ইস্টার্ন ইকোনমিক ফোরামে মিয়ানমার এবং রাশিয়ার মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে। বিশেষ করে দুই দেশের মধ্যে পর্যটন খাতের বিকাশের বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে। তবে এ বিষয়ে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।