২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ১২:৪৭:০১ অপরাহ্ন
রাজশাহীর চারঘাটে পাটের নায্য মূল্য না পাওয়ায় হতাশ পাটচাষীরা
  • আপডেট করা হয়েছে : ১২-০৯-২০২৩
রাজশাহীর চারঘাটে  পাটের নায্য মূল্য না পাওয়ায় হতাশ পাটচাষীরা

রাজশাহীর চারঘাটে পাটের নায্য মূল্য না পাওয়ায় কৃষকরা লোকসানের মুখে পড়েছেন। পাটের আকষ্মিক এমন দরপতনে পাটচাষীদের উৎপাদন খরচও উঠছে না। দাম কমে যাওয়ার ফলে অধিকাংশ পাট ব্যবসায়ীরা চাষীদের কাছ থেকে কম দামে পাট কিনছেন। নায্যমূল্য না পাওয়ায় হতাশ উপজেলার কৃষকরা। পাটের দামে এমন ছন্দপতনের ফলে পাট চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারেন কৃষকরা।


উপ-সহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা অফিস সূত্রে জানা যায়, চারঘাট উপজেলায় চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী প্রায় ৩ হাজার ৪শত হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। চলতি মৌসুমে প্রায় ২ হাজার ২শত কৃষককে পাট বীজ দেয়া হয়েছে। পাট চাষে বীজ বপন থেকে পাটের ফলন পর্যন্ত নানা বিড়ম্বনার স্বীকার হন পাট চাষীরা। সময় মত বৃষ্টি না হওয়ায় ঠিকমত চারা গজায়নি। এতে ব্যহত হয়েছে পাটের ফলন।


আবার পাট কাটার উপযুক্ত হওয়ার পরও বৃষ্টির অভাবে সঠিক সময়ে পানিতে জাগ না দেওয়ার কারনে অনেক জমিতে শুকিয়ে গেছে পাট গাছ। লোকসান গুনতে হয়েছে পাট চাষীদের। এবার বীজ বপন থেকে শুরু করে সার, শ্রমিক খরচ, জাগ দেওয়া, আঁশ ছাড়ানো ও ঘরে তোলা পর্যন্ত বিঘা প্রতি খরচ পড়েছে প্রায় ২০ হাজার টাকা। পক্ষান্তরে কৃষকদের বিঘাপ্রতি আয় হচ্ছে প্রায় ১৬-১৭ হাজার টাকা।


কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে বর্তমান বাজার মূল্যে পাট বিক্রয় করে নিট খরচ উঠছে না। মৌসুমের শুরুতে মন প্রতি পাটের দাম ২৭০০ টাকা থাকলেও বাজারে পাটের সরবরাহ বৃদ্ধি পেলে তা নেমে আসে ১৬৫০ টাকায়। থানাপাড়া গ্রামের পাটচাষী মাহার আলী বলেন, প্রায় ৭ বিঘা জমিতে তিনি পাটের চাষ করেছেন। বিঘা প্রতি তিনি ৮-৯ মন পাট পেয়েছেন। উৎপাদন ও দাম কম হওয়ায় বিঘা প্রতি প্রায় ৩-৪ হাজার টাকা লোকনসান গুনতে হচ্ছে। চলতি বছর পাটের দাম না পাওয়ায় তারা আগামী বছর আর পাট চাষ করবেন না বলে জানিয়েছেন।


উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফন নাহার বলেন, বিগত কয়েক বছরে পাটের দাম ভাল থাকায় এবছর পাট চাষের লক্ষ্য মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য চাষীদের উন্নত জাতের বীজ প্রনোদনা দেয়া হয়েছে। সময়মত পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকরা ঠিকমত পাট জাগ দিতে পারে নাই। সে কারনে পাট এর আশেঁর মান খারাপ হতে পারে। এর ফলে পাটের দাম কমে যেতে পারে বলে তিনি মনে করেন।

শেয়ার করুন