২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০২:২৪:৫৭ অপরাহ্ন
অপহরণের শিকার রাজশাহীর চার স্কুলছাত্রী ঢাকা থেকে উদ্ধার, নারী গ্রেফতার
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৯-০৭-২০২২
অপহরণের শিকার রাজশাহীর চার স্কুলছাত্রী ঢাকা থেকে উদ্ধার, নারী গ্রেফতার

নিখোঁজের তিন দিন পর রাজশাহী মহানগরীর চার স্কুলছাত্রীকে ঢাকার সাভার থেকে উদ্ধার করেছে নগরীর রাজপাড়া থানা পুলিশ। এসময় অপহরণকারী এক নারীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) দিবাগত রাত সোয়া ১ টার দিকে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকার সাভার মডেল থানা পুলিশের সহায়তায়  সাভারের পূর্ব রাজাসন এলাকা থেকে তাদেরকে (ভুক্তভোগী) উদ্ধার ও অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়। আজ শুক্রবার (২৯ জুলাই) দুপুরে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মো. রফিকুল ইসলামের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়- গত মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) সকালে নগরীর মহিষবাথান আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভুক্তভোগী চার স্কুলছাত্রী স্কুলে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু নগরীর টুলটুলি পাড়া এলাকার এই চার কিশোরী বিকেলে বাড়িতে না ফেরায় তাদের অভিভাবকরা খোঁজ-খবর শুরু করে। খোঁজ-খবরের একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন তাদের জানায়, চাঁদনী নামের এক নারীসহ ভুক্তভোগী চার কিশোরীকে নগরীর মহিষবাথান কলোনীর উত্তর পার্শ্বে গেট দিয়ে যেতে দেখেছে। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী ছাত্রীর অভিভাবকগণ অভিযুক্ত চাঁদনীর স্বামীর কাছে গিয়ে জানতে পারে- চাঁদনী কাউকে না জানিয়ে প্রায়ই ঢাকায় যায় এবং ১০-১২ দিন পর আবার ফিরে আসে। চাঁদনীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এতে ভুক্তভোগী কিশোরীদের অভিভাবকরা ধারণা করেন- আসামি চাঁদনীসহ তার সহযোগিরা তাদের পাচার এবং যৌন কার্যকলাপের জন্য নিয়ে গেছে। এক কিশোরীর পিতার এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাজপাড়া থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়। মামলা দায়েরের পরিপ্রেক্ষিতে রাজপাড়া থানার ওসি মো. জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে এসআই মো. সজীবুল ইসলাম ও তার টিম আসামির অবস্থান সনাক্ত করে গ্রেফতার ও পাচার হওয়া কিশোরীদের উদ্ধারে অভিযানে নামে।

পরবর্তীতে রাজপাড়া থানা পুলিশের ওই টিম বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) দিবাগত রাত সোয়া ১ টায় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ঢাকার সাভার মডেল থানার ওই এলাকা থেকে আসামি চাঁদনীকে গ্রেফতার করে এবং তার হেফাজতে থাকা ভুক্তভোগী চার কিশোরীকে (স্কুল শিক্ষার্থী) উদ্ধার করে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়- জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামি যৌন কার্যকলাপের জন্য কিশোরীদেরকে (স্কুল শিক্ষার্থী) পাচারের কথা স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

শেয়ার করুন