আমার ভাইভা হয়েছিল ২৫ থেকে ৩০ মিনিটের মতো। ভাইভা বোর্ড ছিল অনেক স্টুডেন্ট ফ্রেন্ডলি। প্রথমে আমি সালাম দিয়ে রুমে প্রবেশ করি। রুমে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে ম্যাম আমাকে বসতে বলেন।
চেয়ারম্যান স্যার: তোমার নাম কী?
আমি: স্যার, আমার নাম ফজলে রাব্বি।
চেয়ারম্যান: তোমার নামের অর্থ কী?
আমি: স্যার, আমার নামের অর্থ আল্লাহর রহমত।
চেয়ারম্যান: স্যার একটু হাসলেন। তারপর বললেন, তোমার নামটা তো অনেক সুন্দর।
চেয়ারম্যান: তুমি কোথা থেকে পড়াশোনা করেছ?
আমি: স্যার, আমি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে পড়াশোনা করেছি।
(আমি সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতা ও উপস্থিত বিতর্কে রাজশাহী বিভাগে প্রথম হয়েছিলাম, ম্যাথ অলিম্পিয়াডেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। আমি এই সার্টিফিকেটগুলো সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলাম এবং ম্যাম সেগুলো দেখতে দেখতে বললেন, তুমি তো বাবা অনেক মেধাবী।)
চেয়ারম্যান: তোমার বাসা কোন জেলায়?
আমি: স্যার, আমার বাসা রাজশাহী জেলায়।
চেয়ারম্যান: তুমি তো ডাক্তার। তুমি স্বাস্থ্য ক্যাডার কততম পছন্দক্রমে রেখেছ?
আমি: স্যার, স্বাস্থ্য ক্যাডার আমার পছন্দক্রমে সবার নিচে রেখেছি।
চেয়ারম্যান: ডাক্তার হয়েও স্বাস্থ্য ক্যাডার সবার নিচে কেন?
আমি: স্যার, এবার স্বাস্থ্য ক্যাডারে সিট অনেক কম, এ জন্য।
চেয়ারম্যান: ও আচ্ছা।
এক্সটার্নাল-১: তোমাদের তো মেডিকেলের প্রথম বর্ষে শপথবাক্য পড়ানো হয়।
আমি: সরি স্যার, আসলে আমরা যখন ইন্টার্নশিপ শুরু করি, তখন আমাদের শপথবাক্য পড়ানো হয়।
এক্সটার্নাল-১: শপথবাক্যটা বলতে পারবে?
আমি: ‘I solomly pledged myself I want to contribute myself in the sarve of the humanity...’
এক্সটার্নাল-১: ওকে ওকে, এই শপথবাক্যটা কীভাবে এলো?
আমি: স্যার, আলমাআটা ডিক্লারেশনের মাধ্যমে।
এক্সটার্নাল-১: আলমাআটা ডিক্লারেশন কীভাবে এসেছে?
আমি: স্যার, ১৯৪৮ সালের জেনেভা কনভেনশনে যে স্বাস্থ্যবিষয়ক নীতিগুলো গৃহীত হয়েছে, তা আলমাআটা ডিক্লারেশন নামে পরিচিত।
এক্সটার্নাল-১: আমাদের সংবিধানে যে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা আছে, সেটা নিয়ে আমাদের জাতির পিতার একটি বক্তব্য আছে, তুমি কি সেটা বলতে পারবে?
আমি: স্যার, ১৯৭২ সালের ১২ নভেম্বর যেদিন আমাদের সংবিধান গৃহীত হয়, সেদিন মহান সংসদে দাঁড়িয়ে আমাদের জাতির পিতা ধর্মনিরপেক্ষতা সম্বন্ধে একটি বক্তব্য দিয়েছিলেন। ‘জাতি হিসেবে আমরা হিন্দু মুসলিম খ্রিষ্টান বা বৌদ্ধ যেই হই না কেন, সকলে মিলে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা আমাদের দেশকে স্বাধীন করেছি। আমরা সকল ধর্মের মানুষ একত্রে আমাদের দেশে বসবাস করতে চাই। ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। ধর্মনিরপেক্ষতার অর্থ হলো সকল ধর্মের মানুষের সমান অধিকার।’
এক্সটার্নাল-১: এক্স্যাক্টলি। ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। ধর্মনিরপেক্ষতার অর্থ হলো সকল ধর্মের মানুষের সমান অধিকার।
এক্সটার্নাল-১: সংবিধানের আলোকে আমাদের পররাষ্ট্রনীতি ব্যাখ্যা কর।
আমি: স্যার, আমাদের মহান সংবিধানের ২৫ নম্বর অনুচ্ছেদে পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।। ২৫ নম্বর অনুচ্ছেদটি পুরোটা মুখস্থ বলেছি। স্যার খুব খুশি হয়েছিলেন।
এক্সটার্নাল-২: What is good governance?
আমি: Good Governance is an approach to government that is committed to creating a system founded in justice and peace that protects individual’s human rights and civil liberties.
এক্সটার্নাল-২: Name some points of good governance...
আমি: Factors of Participation, Rule of Law, Transparency, Responsiveness, Consensus Oriented, Equity and Inclusiveness, Effectiveness and Efficiency, Accountability.
এক্সটার্নাল-২: ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেসকো কী Title দিয়েছে? এটি সংবিধানের কোথায় আছে?
আমি: স্যার, এটি UNESCO-এর The Memory of the World International Register-এ বিশ্ব ঐতিহ্যের দলিল হিসেবে স্বীকৃতি পায়। ভাষণটি বাংলাদেশ সংবিধানের পঞ্চম তফসিলে স্থান পেয়েছে।
এক্সটার্নাল-২: Why customs is your first choice, ইংলিশে বল।
আমি: Sir, we are all servant and we are all doing our national duties. Sir, revenue is the bloodline of our country. By collecting revenue I can contribute myself in the health sector, education sector, agriculture sector and total development of our country. Beside these, this cadre provides me well logistics support, rapid and smooth promotion, grands of rewardment, economic solvency & give me an opportunity to work as a customs intelligence.
এক্সটার্নাল-২: ফিসকাল পলিসি ও মনিটারি policy কী, কেন করা হয়, কারা করেন?
আমি: সামষ্টিক অর্থনৈতিক কার্যকলাপ পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের সরকারের আয় ও ব্যয় ব্যবস্থাপনার কৌশলকে রাজস্ব নীতি বলে।
এক্সটার্নাল-২: বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ এটি প্রণয়ন করে। কেন করে বলতে পারবে? আমি: ১. কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে। ২. অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে। ৩. সরকারের আয় ও ব্যয়ের সমন্বয় করতে।
এক্সটার্নাল-২: মুদ্রানীতি কী? কেন প্রণয়ন করা হয়?
আমি: মুদ্রা সরবরাহ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে তারল্য নিয়ন্ত্রণ করাকে মুদ্রানীতি বলে। মুদ্রা সরবরাহ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে এই নীতি প্রণয়ন করা হয়।
এক্সটার্নাল-২: কারা করেন?
আমি: কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে বাংলাদেশে ব্যাংক এটি প্রণয়ন করে।