২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ১১:৩৭:২৯ অপরাহ্ন
১০ বছরের মধ্যে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হবেন আদম তমিজি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-০৯-২০২৩
১০ বছরের মধ্যে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হবেন আদম তমিজি

কয়েকবছর পর হঠাৎই আলোচনায় হক গ্রু‌পের ব্যবস্থাপনা প‌রিচালক আদম তমিজী হক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসে দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কথাবার্তা ও বাংলাদেশের পাসপোর্ট পুড়িয়ে ফেলে আলোচনায় আসেন তিনি।


গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে একের পর এক ফেসবুক পোস্ট করতে থাকেন আদম তমিজী হক। যেখানে তার ব্যবসার টাকা মেরে দেওয়াসহ নানা অভিযোগ তোলেন তিনি। সেই সঙ্গে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ১০ বছরের মধ্যে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হবেন তিনি।


গত শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ব্যবসায়ী আদম তমিজী হক তার ফেসবুকে একাধিক পোস্ট করেন। এর মধ্যে একটি পোস্টে তিনি ইংরেজিতে এ কথা বলেন। আদম তমিজী হক তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, যুক্তরাজ্যে পৌঁছানোর ১০ বছরের মধ্যে তিনি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হবেন।


তিনি লেখেন, যুক্তরাজ্য এমন একটি দেশে যেখানে প্রত্যেকেরই কথা বলার আধিকার আছে। এছাড়া কোন দলের প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নেবেন সেটিও উল্লেখ করেন তিনি।


এর আগে ব্যবসায়ী আদম তমিজী হক এক ফেসবুক লাইভ ভিডিও পোস্টে হক গ্রুপের কারখানা দখলের জন্য অভিযোগ তোলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের দিকে।


আদম তমিজি হকের অভিযোগ, গাজীপুরে টঙ্গীতে হক গ্রুপের কারখানা দখলের জন্য যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলকে সঙ্গে নিয়ে চাচা স্থানীয় মতিউর রহমান মতি এবং হক গ্রুপের বরখাস্তকৃত চিফ অপারেশনাল অফিসার মোশফাকুর রহমান রোমেল মিলে ষড়যন্ত্র করেছেন।


যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। গত শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ধারাবাহিকভাবে ফেসবুকে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলকে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন পোস্ট দেন আদম তমিজী। এর জেরে গত শনিবার দুপুরে টঙ্গীতে বিক্ষোভ মিছিল করেন প্রতিমন্ত্রীর সমর্থকরা।


ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হকের মৃত্যুর পর উপনির্বাচনকে সামনে রেখে ২০১৭ সালে রাজনীতিতে সক্রিয় হন আদম তমিজি হক। এ সময় তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু তখন মনোনয়ন দেওয়া হয়নি তাকে।


২০২০ সালে অনুষ্ঠিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন আদম তমিজি হক। সে সময়ও তাকে মনোনয়ন দেয়নি দলটি।


এরপর ওই বছরের নভেম্বর মাসে ঘোষিত ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তাকে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে রাখা হয়। এর আগে ঢাকা মহানগর উত্তর তাঁতী লীগের প্রধান উপদেষ্টা করা হয়েছিল।

শেয়ার করুন