রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হতে চান যুবলীগ নেতা নাহিদ আক্তার নাহান। তিনি নির্বাচিত হলে রাজশাহী মহানগর যুবলীগকে একটি মডেল যুবলীগে পরিণত করা হবে বলে মত প্রকাশ করেছেন। এক সাক্ষাতকারে এই উদীয়মান যুবলীগ নেতা এ মত পোষন করেছেন।
তিনি বলেন, আমি জন্মসূত্রে আওয়ামী পরিবারের সন্তান। আমার বাবা বীরমুক্তিযোদ্ধ মোয়াজ্জেম হোসেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকাররা আমাদের পরিবারের উপর অনেক নির্যাতন চালিয়েছে। আমার বাবা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের মানুষ। আমি তারই শিক্ষায় আজ রাজনীতি করি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করি, লালন করি।
তিনি বলেন, আমি ছাত্র জীবনে মহানগর ছাত্রলীগের সদস্য ছিলাম। পরে মহানগর যুবলীগে যোগ দেই। ২০০৪ সালে থেকে ১৬ সাল পর্যন্ত আমি মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলাম। নিষ্ঠার সাথে টানা ১২ বছর আমি এ দায়িত্ব পালন করেছি। সাংগঠনিক সম্পাদক হলেও আমি দলের পুরো দায়িত্ব পালন করে এসেছি। ২০১৬ সালের সম্মেলনে আমি সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী ছিলাম।
সে সময় পদ না পেলেও গত সাত বছর নেতাকর্মীদের ছেড়ে যাইনি। আমি কার্যক্রম চালিয়ে গেছি, নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছি। তিনি আরো বলেন- পদে না থেকেও আমি বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে দিয়েছি। এমনকি দায়িত্বে থাকাকালীন সময় আমি নিজে সাংগঠনিক ৩৭টি ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করে দিয়েছিলাম। শুধুমাত্র যুবলীগকে ভালবাসি, যুবলীগকে বুকে ধারণ করি বলে আমি মুল দল আওয়ামী লীগে যাইনি।
তিনি বলেন, এবার আমি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদি। আমি চাই এবার যুবলীগে কর্মী বান্ধব নেতৃত্ব আসবে। সেই জায়গা থেকে এবার আমাকে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদটি দেয়া হলে আমি রাজশাহী মহানগর যুবলীগকে মডেল যুবলীগে পরিণত করবো। রাজশাহী মহানগর যুবলীগকে আরো গতিশীল সংগঠন করার চেষ্টা করবো। তিনি আরো বলেন, রাসিক নির্বাচনে আমি আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর পক্ষে দিনরাত কাজ করেছি। যার কারণে বর্তমান মেয়রের আস্থাভাজন হিসাবে জায়গা করে নিতে পেরেছি।
এবার মহানগর যুবলীগে সাধারণ সম্পাদক পদে ১৮ জন প্রার্থী তাদের বীজব বৃত্তান্ত কেন্দ্রে জমা দিয়েছেন। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর মহানগর ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে চারদিকে সাজসাজ রব বিরাজ করছে। পোষ্টার ব্যানারে ছেয়ে গেছে সবুজ নগরী রাজশাহী। পদ প্রত্যাশিরাও সমর্থন পাওয়ার ছুটছেন তৃণমূল নেতাদের কাছে। এতে উজ্জীবিত হয়ে উঠেছে রাজশাহী মহানগর যুবলীগ। সাত বছর পর সম্মেলন হওয়ায় নেতাকর্মীদের মাঝেও প্রাণচাঞ্চল্যতা ফিরে এসেছে।