০২ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১১:১২:৪০ অপরাহ্ন
৪৬০০ কেজি পণ্যবোঝাই প্রথম লাগেজ ভ্যান নিয়ে ঢাকা ছাড়ল জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৪-০৯-২০২৩
৪৬০০ কেজি পণ্যবোঝাই প্রথম লাগেজ ভ্যান নিয়ে ঢাকা ছাড়ল জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস

প্রথম লাগেজ ভ্যান নিয়ে সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকা ছেড়েছে ঢাকা-সিলেট-ঢাকা রুটের জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস (৭১৮)। ট্রেনের নন-রেফ্রিজারেটর লাগেজ ভ্যানে ৪ হাজার ৬০০ কেজি মালামাল বুকিং নেওয়া হয়। যাত্রীবাহী ট্রেনে এ মাল পরিবহন বাবদ রেলওয়ে আয় করেছে ১০ হাজার ২১২ টাকা। এই পথে কেজি প্রতি পরিবহন খরচ ২ টাকা ২২ পয়সা।


আজ রোববার সকাল ১১টা ২০ মিনিটে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনটি ছেড়ে যায়। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।


এর আগে রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন ফিতা কেটে লাগেজ ভ্যান উদ্বোধন করেন এবং সবুজ পতাকা নেড়ে ট্রেন ছাড়ার অনুমতি দেন।


উদ্বোধনের আগে নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিবহন বিভাগের চাহিদার ভিত্তিতে সবুজ শাকসবজি, মৌসুমি ফল, ফুল, অন্যান্য পচনশীল দ্রব্য (মাছ, মাংস, দুধ), ওষুধ ও ভ্যাকসিন রেলযোগে পরিবহনের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে লাগেজ ভ্যান ক্রয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার লক্ষ্যে ওই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ১২৫টি লাগেজ ভ্যানসহ (৭৫টি মিটারগেজ ও ৫০টি ব্রডগেজ) অন্যান্য রোলিং স্টক (৪০টি ব্রডগেজ লোকোমোটিভ, ৫৮০টি মিটারগেজ ওয়াগন ও ৪২০টি ব্রডগেজ ওয়াগন) সংগ্রহের উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) ২০১৮ সালের ২৬ জুন অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে অনুমোদিত হয়।


ট্রেনে লাগেজ ভ্যান যুক্ত করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে, থাকবে রেফ্রিজারেটর ভ্যানওট্রেনে লাগেজ ভ্যান যুক্ত করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে, থাকবে রেফ্রিজারেটর ভ্যানও

‘পরে ওই বছরের জুলাইয়ে ৭৫টি মিটারগেজ ও ৫০টি ব্রডগেজ লাগেজ ভ্যান সংগ্রহের জন্য দুটি দরপত্র আহ্বান করা হয় এবং বাংলাদেশ রেলওয়ে ও চীনের সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান JV of CNTIC-RAILTECO-JINXI এর সঙ্গে ২০২০ সালের ৩১ আগস্ট পৃথক দুটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। মোট চুক্তি মূল্য ৩৫৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকা (৭৫টি মিটারগেজ লাগেজ ভ্যানের চুক্তি মূল্য ১৮৩ কোটি ২৪ লাখ এবং ৫০টি ব্রডগেজ লাগেজ ভ্যানের চুক্তি মূল্য ১৭৫ কোটি ১৫ লাখ)।’


রেলমন্ত্রী বলেন, ‘রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য বিভাগীয় ও জেলা শহরসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলসমূহের (যেখানে প্রচুর শাকসবজি, মৌসুমি ফল, ফুল এবং অন্যান্য পচনশীল দ্রব্যাদি যেমন মাছ, মাংস, দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত খাবার ইত্যাদি উৎপাদিত হয়) সঙ্গে নির্ধারিত আন্তনগর ট্রেনের মাধ্যমে লাগেজ ভ্যান যুক্ত করা হবে। এর মাধ্যমে কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত দ্রব্যাদি সহজে বাজারজাত করতে পারবেন এবং আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। অপরদিকে ব্যবসায়ীরা দেশের শহরগুলোতে কৃষিজাত পণ্যসমূহ সহজে সরবরাহ করতে পারবেন। ফলে দ্রব্যাদি সহজলভ্য হবে এবং ন্যায্যমূল্যে পাওয়া যাবে। এ ট্রেন চালু হলে রেলওয়ের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে, যা সার্বিকভাবে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।’


শেয়ার করুন