০১ মে ২০২৪, বুধবার, ০২:১৩:১২ পূর্বাহ্ন
রেল নেটওয়ার্কে যুক্ত হচ্ছে কক্সবাজার
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-১০-২০২৩
রেল নেটওয়ার্কে যুক্ত হচ্ছে কক্সবাজার

লাল-সবুজের ছয়টি বগি ও একটি ইঞ্জিন এনে রাখা হয়েছে চট্টগ্রামের পটিয়া রেলওয়ে স্টেশনে। আগামী ১৫ অক্টোবর নবনির্মিত রেলপথ দিয়ে প্রথম পরীক্ষামূলক ট্রেন চালুর কথা রয়েছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রেলপথ নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে। তাদের প্রত্যাশা, চলতি বছরেই বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। 

সারাদেশের সঙ্গে কক্সবাজারকে রেল নেটওয়ার্কে যুক্ত করার মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে এ অঞ্চলের অর্থনীতি সমৃদ্ধি হবে। সরকারের অগ্রাধিকারভুক্ত এই প্রকল্পের কাজ ৮৯ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ১১ শতাংশ কাজ শেষ হবে আগামী মাসের মধ্যে। এর পরই রেলপথে স্বপ্নদুয়ার খুলবে কক্সবাজারের। দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আমদানি করা নতুন বিলাসবহুল মিটারগেজ কোচ দিয়েই এই লাইনে যাত্রী পরিবহন করা হবে। 

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বিভিন্ন জটিলতা, প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে দ্রুতগতিতে কাজ শেষ হওয়ার পথে। দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্পের অতিরিক্ত পরিচালক প্রকৌশলী মো. আবুল কালাম চৌধুরী জনকণ্ঠকে জানান, কাজ শেষের দিকে। আমাদের এখন ফিনিশিং কাজ চলছে। শতাংশ হিসাবে এখন কাজের অগ্রগতি বলা কঠিন। তবে ৮৯ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে এখন পর্যন্ত। আশা করছি, আমরা ১৫ অক্টোবর ট্রায়াল রান করাব। এটি পরিকল্পনায় রয়েছে। এ জন্য পটিয়া স্টেশনে বগি ও ইঞ্জিন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ট্রায়ালের আগের দিন সেগুলো দোহাজারী নিয়ে যাওয়া হবে। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী এ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। চলতি বছরেই বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হবে আশা রাখি। ইতোমধ্যে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ২৫১টি ছোট-বড় ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। নির্মিত হয়েছে অত্যাধুনিক রেলওয়ে স্টেশন।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল সূত্রে জানা গেছে, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) আর্থিক সহায়তায় দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত চলমান রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৮ সালে, যার ব্যয় ধরা হয় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা। মেয়াদ বৃদ্ধি করে তা আগামী বছরের জুনে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা চলতি বছরের অক্টোবরেই সম্পন্ন হচ্ছে।

উদ্বোধনের পর প্রথমে একটি ট্রেন সার্ভিস চালু করার পরিকল্পনা প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করেছে রেলওয়ে। পূর্বাঞ্চলের পক্ষ থেকে ঢাকা-কক্সবাজার লাইনে ট্রেনের সময়সূচি  তৈরি করে রেলভবনে প্রস্তাবনা আকারে পাঠানো হয়েছে। এ লাইনে তিনটি ট্রেন পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের। মূলত ট্যুরিস্ট কার ক্রয় প্রকল্পটির বাস্তবায়ন ধীরগতিতে হওয়ায় একাধিক ট্রেন সার্ভিসের পরিকল্পনা বাদ দেওয়া হয়। বাণিজ্যিকভাবে এ রেলপথটি লাভবান হবে- এ বিষয়টি মাথায় নিয়েই পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের বাণিজ্যিক ও অপারেশন বিভাগ তাদের প্রস্তাবনা দিয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে।


শেয়ার করুন