পাকিস্তানের শাহিন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফ ও নাসিম শাহ— এই ত্রয়ীকে বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম শক্তিশালী পেস বিভাগ বিবেচনা করা হয়।
তবে চলমান বিশ্বকাপের আসর শুরুর আগেই ইনজুরিতে পড়ে নাসিম ছিটকে যাওয়ায় সেই আক্রমণভাগ ভেঙে যায়। তবু শাহিন-রউফরাও তোপ দাগার কথা ছিল বিশ্বকাপে।
কিন্তু তাদের সেভাবে আলো ছড়াতে দেখা যাচ্ছে না। কিছুটা অস্বস্তিতে থাকতে দেখা যায় শাহিন শাহ আফ্রিদিকে। সে কারণে প্রশ্ন উঠেছে— তিনি ইনজুরি নিয়ে খেলছেন কিনা?
সর্বশেষ শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচে পাকিস্তানের প্রায় সব বোলারই ৬-এর বেশি গড়ে রান দিয়েছেন। তবে খরুচে বোলিংয়ের পাশাপাশি ঠিকই ৪ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন নাসিমের বদলে স্কোয়াডে জায়গা পাওয়া হাসান আলী।
যদিও এখন পর্যন্ত পেস বিভাগের অফ-ফর্ম বিশ্বকাপে তেমন ভোগায়নি পাকিস্তানকে। তবে আগামী ১৪ অক্টোবর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে শাহিন-রউফদের অবশ্যই স্বরূপে দেখতে চান দেশটির ক্রিকেটসংশ্লিষ্টরা।
শাহিন এলেই চোটে রয়েছেন বলে সরাসরি মন্তব্য করেছেন তার স্বদেশি ধারাভাষ্যকার রমিজ রাজা। লংকানদের সঙ্গে ম্যাচ চলাকালে ধারাভাষ্যে সাবেক এ পাকিস্তানি ক্রিকেটার বলেন, ‘শাহিনের আঙুলে চোট রয়েছে এবং বোলিংয়ে ব্যথাও পায় সে।’
অন্যদিকে পাকিস্তানের একটি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে দলের বাইরে থাকা অলরাউন্ডার শোয়েব মালিক বলেছেন, ‘নতুন বলে শাহিন দ্রুত উইকেট তুলে নিতে পারে, কিন্তু তার সেই সামর্থ্য কাজে লাগাতে না পারাটা পাকিস্তানের জন্য বড় দুশ্চিন্তার বিষয় বলে মনে করি। বিশেষ করে বড় দলের সঙ্গে শাহিনের উপযুক্ত সার্ভিস না পাওয়াটা পাকিস্তানের জন্য বড় ক্ষতি।’
তবে পাকিস্তান দলের পক্ষ থেকে শাহিন আফ্রিদির চোটের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কিছুই জানানো হয়নি। তা সত্ত্বেও দ্রুত সময়ে শাহিনকে সারিয়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছেন শোয়েব মালিক, ‘শাহিনের জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
ফিজিও ও ট্রেনারদের সঙ্গে কাজ করে কীভাবে তার বলের গড় গতি আরও বাড়ানো যায় সেসব নিয়ে বসতে হবে। আমি জানি সে বড় ইনজুরি থেকে ফিরেছে এবং এর পর তাকে আর আগের মতো ১৪০ গতিতে বল করতেও তেমন দেখা যায়নি।
অথচ একসময় তার স্পেল ছিল ১৪৫ গতিসম্পন্ন। সামনে অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো বড় প্রতিপক্ষ রয়েছে। তাই শাহিনের সঙ্গে বসে আসন্ন ম্যাচগুলোর আগেই এ সমস্যার সমাধান করা উচিত।’
বিশ্বকাপে তুলনামূলক দুর্বল দল নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে অভিযান শুরু করেছিল পাকিস্তান। দ্বিতীয় ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল শ্রীলংকা। হায়দরাবাদে গতকাল লংকানরা জোড়া সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানকে ৩৪৫ রানের বড় লক্ষ্য ছুড়ে দেয়। ম্যাচে ৯ ওভার করে ৬৬ রানে ১ উইকেট পেয়েছিলেন শাহিন।
সেই ম্যাচে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও আব্দুল্লাহ শফিকের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড গড়ে পাকিস্তান। পরবর্তী ম্যাচে তারা আগামী ১৪ অক্টোবর আহমেদাবাদে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের মুখোমুখি হবে।