২৪ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার, ০৬:১১:৫০ পূর্বাহ্ন
বাগমারায় এস.ডি ফিস এগ্রো কোম্পানীর স্বত্ত্বাধিকারীর বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীর অভিযোগ
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-১০-২০২৩
বাগমারায় এস.ডি ফিস এগ্রো কোম্পানীর স্বত্ত্বাধিকারীর বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীর অভিযোগ

রাজশাহীর বাগমারায় এস,ডি ফিস এগ্রো কোম্পানীর স্বত্ত্বাধিকারী শহিদুল ইসলাম ও তার ছেলে মাহফুজুর রহমানের বিরুদ্ধে ইসলাম ব্যাংকের দুইটি হিসাব নম্বরের তিনটি চেক জোর পূর্বক আটকিয়ে রাখার অভিযোগ করেছেন একই এলাকার ফিড ব্যবসায়ী ফেরদৌস রহমান। ওই চেক দিয়ে তাকে ব্লাকমেল করতে পারে বলে তিনি ্আশংকা প্রকাশ করেছেন। ওই ঘটনায় ব্যবসায়ী ফেরদৌস রহমান দুইজনকে আসামী করে বাগমারা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। তবে শহিদুল ইসলাম তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তাদের মধ্যে এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি।

থানার লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, এস,ডি ফিস এগ্রো কোম্পানীর স্বত্ত্বাধিকারী শহিদুল ইসলামের সাথে বাঁকী ফিড ব্যবসায়ীক চুক্তি হিসেবে ফেরদৌস রহমানকে স্বাক্ষরিত ব্যাংকের চেক দেয়ার কথা হয়। সে মোতাবেক ফেরদৌস রহমান নিজের ব্যাংক হিসাব না থাকায় তার আপন শাশুড়ি মমতাজ বেগমের নামে হিসাব নং ২০৫০৩৮১০২০০৭০৭৮০৩, পাতা নং ৩৫৫০১৮১ ইসলামী ব্যাংক লিমিডেটের চেক প্রদান করেন। পরে ফেরদৌস রহমান ইসলামী ব্যাংকে নিজের নামে হিসাব খোলে আবারো দুইটি চেক প্রদান করেন। ব্যবসায়ী ফেরদৌস রহমান কোম্পানীর টাকা পরিশোধ করার পরে তিনি নগদে ব্যবসা শুরু করেন। দীর্ঘদিন ব্যবসায়ী চালিয়ে আসলেও ফেরদৌস রহমানের চেক ফেরতের কোন ব্যবস্থা করেন নি শহিদুল ইসলাম।

ব্যবসায়ী ফেরদৌস রহমানের অভিযোগ, শহিদুল ইসলামের সাথে ব্যবসায়ীক চুক্তি ছাড়াও তার কোম্পানীতে দীর্ঘদিন থেকে চাকরী করে আসছি। ব্যবসায়ী হিসাব নিকাশ শেষে তার কোম্পানী থেকে চাকরী ছেড়ে দিয়ে নিজের ব্যবসা পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করি। এ সময় শহিদুল ইসলামকে চেক ফেরতের বিষয়টি জানালে তিনি বিভিন্ন ভাবে টালবাহনা শুরু করেন। গত ৬ অক্টোবর ফেরদৌস রহমান শহিদুল ইসলামকে চেক ফেরতের বিষয়টি জানালে তিনি বিভিন্ন ভাবে গালমন্দ ও ভয়ভীতি দেখাই। ফেরদৌস রহমানের আশংকা, শহিদুল ইসলাম তার শfশুড়ি ও নিজের চেক গুলো দিয়ে ব্লাকমেলের মাধ্যমে বিপদে ফেরতে পারেন। তিনি অবিলম্বে চেক গুলো উদ্ধারের জন্য আইন শৃংখলা বাহিনীর সহযোগীতা কামনা করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এস,ডি ফিস এগ্রো কোম্পানীর স্বত্ত্বাধিকারী শহিদুল ইসলাম জানান, তার সাথে ব্যবসায়ীক দেনদেন ছাড়া অন্য কিছু নেই। তিনি বাকীতে মালামাল ক্রয় না করে নগদে করবেন বলে জানান। তার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ উত্থাপন করেছেন তা সঠিক নয় বলে তিনি দাবী করেছেন।

জানতে চাইলে বাগমারা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সত্যতা পেলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।


শেয়ার করুন