২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ০৫:৫১:৪১ অপরাহ্ন
শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে শিক্ষা ক্যাডারদের কর্মবিরতি স্থগিত
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৬-১০-২০২৩
শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে শিক্ষা ক্যাডারদের কর্মবিরতি স্থগিত

দাবি পূরণে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির ‘সুনির্দিষ্ট আশ্বাসের’ পরিপ্রেক্ষিতে কর্মবিরতি কর্মসূচি স্থগিত করেছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি। আগামী ১৭ অক্টোবর (সোমবার) ও ১৯ অক্টোবর (বুধবার) এই কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।


আজ রোববার বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কর্মসূচি স্থগিতের এ তথ্য জানানো হয়।


বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষামন্ত্রীর সুনির্দিষ্ট আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি আহুত আগামী ১৭ ও ১৯ অক্টোবরের সর্বাত্মক কর্মবিরতির কর্মসূচি স্থগিত করা হলো। 


এর আগে শনিবার রাতে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সঙ্গে রাজধানীতে তার সরকারি বাসভবনে বৈঠক করেন আন্দোলনকারী বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির নেতারা। 


বৈঠক শেষে সমিতির সভাপতি অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, ‘মন্ত্রী আমাদের জানিয়েছেন আমাদের দাবিগুলো খুবই বাস্তবায়নযোগ্য; তবে একটু সময় লাগবে। এ ছাড়া সামনে জাতীয় নির্বাচন এবং নির্বাচনের আগে হয়তো সব বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না। আমরা আলোচনায় খুবি স্যাটিসফাইড (সন্তুষ্ট); আশা করছি, আমাদের দাবি পূরণ হবে। সব বিষয় আমরা সাংগঠনিকভাবে আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাব।’


এ সময় শিক্ষকদের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সব সময়ই শিক্ষকদের দাবি পূরণে সচেষ্ট। শিক্ষকরা আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন, শিক্ষকরা তাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করবেন।’


সব সমস্যার সমাধান একদিনে করা সম্ভব নয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবিগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। সামনে নির্বাচন; এরপর জনগণ আওয়ামী লীগকে সরকারে আনলে সব দাবি বাস্তবায়ন করা হবে।’


নির্বাচনের আগে পদোন্নতির সুযোগ রয়েছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমার মন্ত্রণালয়ের অধীনে যা রয়েছে, তা দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।’


আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনসহ ৬ দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারা। গত ১০ থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত বিসিএস সাধারণ শিক্ষকরা টানা তিন দিনের সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করেছেন। তাদের দাবি আদায় না হওয়ায় আগামী ১৭ ও ১৯ অক্টোবর কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এর আগে ২ অক্টোবর কর্মবিরতি পালন করেছিলেন শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা।


কর্মবিরতিতে দেশের সব সরকারি কলেজ, সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা, সরকারি টিটি কলেজ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি), মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর, সব শিক্ষা বোর্ড, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি), নায়েম, ব্যানবেইসসহ শিক্ষা-সংশ্লিষ্ট সব দপ্তর ও অধিদপ্তর এতে অংশ নিয়েছিল।


শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের ছয় দফা দাবির মধ্যে রয়েছে– প্রাপ্যতা সাপেক্ষে সকল যোগ্য কর্মকর্তার পদোন্নতি, পদ সৃষ্টি, স্কেল আপগ্রেডেশন, আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন, ক্যাডার কম্পোজিশনের সুরক্ষা, শিক্ষা-সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরগুলো থেকে শিক্ষা ক্যাডারবহির্ভূতদের প্রত্যাহার করা।


শেয়ার করুন