তেল কিনতে না পারায় পাকিস্তান এয়ারলাইনসের (পিআইএ) কয়েক ডজন ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। পিআইএর ডেপুটি মুখপাত্র আতহার আওয়ান বলেছেন, ‘জ্বালানি না থাকায় গত মঙ্গল ও বুধবার ৪৮টি আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।’
গত বুধবার পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজকে এ তথ্য জানান এয়ারলাইনসের কর্মকর্তারা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে পিআইএর এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘বকেয়া পরিশোধ না করার কারণে জ্বালানি সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে। কারণ, আর্থিক সংকটের সম্মুখীন পিআইএ সময়মতো পাকিস্তান স্টেট অয়েলকে (পিএসও) বকেয়া পরিশোধ করতে পারছে না।’
এর আগে ব্লুমবার্গের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, পিআইএর বকেয়ার পরিমাণ ২৫০ কোটি ডলার, যা তার মোট সম্পত্তির পাঁচ গুণ বেশি। পাকিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বলেছে, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলোকে বেসরকারিকরণের যে বৃহৎ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, তার অংশ হিসেবে এয়ারলাইনসটিকে বিক্রি করে দেওয়া হবে।
পিএসওর কাছ থেকে জ্বালানি কিনে থাকে পিআইএ। দৈনিক জ্বালানির মূল্য বাড়িয়ে ১৫ লাখ রুপি করার পর ফ্লাইটের সময়সূচিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে আশা করছে পিআইএ। এয়ারলাইনসটির একজন মুখপাত্র গত মঙ্গলবার বলেন, ‘আজ (মঙ্গলবার) থেকে পিআইএর ফ্লাইট কার্যক্রম ৯০ শতাংশ সুষ্ঠুভাবে চলবে বলে আশা করছি।’
তিনি জানান, জ্বালানির জন্য সফলভাবে তহবিল সংগ্রহ করতে পারায় পিআইএর ফ্লাইটের সময়সূচি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে। তিনি বলেন, ‘নিজস্ব সম্পদ থেকেই পিআইএ এই তহবিল সংগ্রহ করেছে। ১৯ অক্টোবরের মধ্যেই আমরা ফ্লাইটের স্বাভাবিক সময়সূচিতে ফিরতে পারব বলে আশা করছি।’
ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসা সত্ত্বেও সব কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে স্থিতিশীল হতে আরও কয়েক দিন সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি।
পিআইএর কাছ থেকে ১৫ লাখ রুপি পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে পিএসও। করপোরেশনটির একজন মুখপাত্র জানান, গত ৮ থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত পিআইএকে ১৮৫ দশমিক ৯ কোটি রুপির জ্বালানি সরবরাহ করেছে পিএসও। এর মধ্যে পিআইএ পরিশোধ করেছে ১১০ দশমিক ৬ কোটি রুপি।