চেন্নাইয়ের চিপোকের অভিজ্ঞতাটা একদম ভালো নয় পাকিস্তানের। গত সোমবার এম এ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানকে ২৮৩ রানের লক্ষ্য দিয়েও জিততে পারেননি তাঁরা। সেই ক্ষত নিয়ে আজ একই মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয়েছেন বাবর আজমেরা। বিশ্বকাপে টিকে থাকার লড়াইয়ে বাকি ম্যাচগুলোতে জিততেই হবে তাঁদের। সেই লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে এবার উড়তে থাকা প্রোটিয়াদের ২৭১ রানের লক্ষ্য দিতে পেরেছে পাকিস্তান।
টসে জিতে শুরুতে বিপদে পড়েছিল পাকিস্তান। দলীয় ৩৮ রানে মার্কো ইয়েনসেন সাজঘরে ফেরত পাঠান দুই ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক (৯) ও ইমাম-উল-হককে (১২)। তৃতীয় উইকেটে উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ানকে নিয়ে ধাক্কাটা সামলাতে চেষ্টা করেন অধিনায়ক বাবর আজম।
তাঁদের ছুটে চলার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান জেরাল্ড কোয়েৎজি। ব্যক্তিগত ৩১ রানে কুইন্টন ডি ককের গ্লাভসবন্দী হন তিনি। তার আগে ওয়ানডেতে ২ হাজার রানের মাইলফলকে পা রাখেন রিজওয়ান। এরপর ইফতিখার আহমেদের সঙ্গে ৪৩ রানের জুটি গড়েন বাবর। সেই জুটি ভাঙেন তাব্রাইজ শামসি।
বেশিক্ষণ টেকেনি সৌদ শাকিলের সঙ্গে বাবরের জুটি। শামসির দ্বিতীয় শিকার হয়ে পাকিস্তান অধিনায়ক ফেরেন ফিফটি পাওয়ার পরপরই। এ নিয়ে বিশ্বকাপে টানা দুই ফিফটি পেলেন বাবর। ফিফটি পেয়েছেন শাকিলও। শামসির তৃতীয় শিকার হওয়া এই মিডল অর্ডার ব্যাটারে ৫২ বলে ৫২ রানই পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ।
১৪১ রানে ৫ উইকেট হারানো পাকিস্তানকে লড়ার মতো পুঁজি এনে দেন শাকিল ও শাদাব খান। দুজনে গড়েন ৭১ বলে ৮৪ রানের জুটি। কোয়েৎজির বলে ফেরার আগে ৩৬ বলে ৪৩ রানের ক্যামিও উপহার দেন শাদাব। ইয়েনসেনের তৃতীয় শিকার মোহাম্মদ নওয়াজের ব্যাট থেকে আসে ২৪ রান। বেশ কয়েক ওভার বাকি থাকলেও টেলএন্ডারদের মধ্যে শাহিন শাহ আফ্রিদি (২) ও মোহাম্মদ ওয়াসিম (৭) রাখতে পারেননি তেমন কোনো অবদান। অপরাজিত ছিলেন হারিস রউফ (০)। ৪৬.৪ ওভারে পাকিস্তান থামে ২৭০ রানে। প্রোটিয়াদের হয়ে ১০ ওভারে ৬০ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন শামসি। ৩ উইকেট ইয়েনসেনের।