গাজার জাবালিয়ায় শরণার্থী শিবিরে প্রথম ও দ্বিতীয় ইসরাইলি বোমা হামলায় হতাহতের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়েছে। এ ঘটনায় মৃত্যু বেড়ে ২০০ তে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন আরও ১২০ জন এবং আহত হয়েছেন অন্তত ৭৭৭ জন।
গাজার সরকারি সংবাদমাধ্যম সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আলজাজিরার।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মঙ্গলবার ও বুধবার জাবালিয়ায় ইসরাইলি হামলাকে ‘ভয়াবহ’ বলে বর্ণনা করেছেন। অন্যদিকে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার বলেছেন, এই ‘অসমানুপাতিক হামলা’ ‘যুদ্ধাপরাধ’ হতে পারে।
ইসরাইলের দাবি, হামাস কমান্ডারকে লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়েছে।
এদিকে ইসরাইলি বাহিনীর হামলার মুখে সীমান্তবর্তী রাফাহ ক্রসিং পার হয়ে মিশরের উদ্দেশ্যে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা ছেড়েছেন চার শতাধিক বিদেশি পাসপোর্টধারী নাগরিক ও আহত ফিলিস্তিনিরা। ২৫ দিনের চলমান সংঘাত থেকে বুধবার (১ নভেম্বর) প্রথমবারের মতো গাজা ছাড়ার সুযোগ পান এসব নাগরিক। এ সময় অনেকে স্বস্তি প্রকাশ করেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী— ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ গাজা ছেড়েছেন। যার মধ্যে দ্বৈত ফিলিস্তিনি নাগরিক ছাড়াও অন্যান্য দেশের নাগরিকদের সংখ্যা ৩৩৫ জন। আর ৭৬ জন আহত ফিলিস্তিনি।
এর আগে মিশর থেকে দুই শতাধিক ট্রাক জরুরি ত্রাণ নিয়ে গাজায় প্রবেশ করে। তবে যুদ্ধবিধ্বস্ত ওই অঞ্চলের কোনো লোককে রাফাহ সীমান্ত দিয়ে বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। শেষ পর্যন্ত শুধু বিদেশিদের জন্য ওই সীমান্ত খুলে দেওয়া হয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনির অবরুদ্ধ গাজার শাসকগোষ্ঠী সশস্ত্র হামাস ও ইসরাইলি বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। এই যুদ্ধের মধ্যে পড়ে যান অনেক বিদেশি পাসপোর্টধারী। যুদ্ধের পর থেকে গাজা ছাড়ার চেষ্টা করছিলেন তারা। উপসাগরীয় দেশ কাতারের মধ্যস্থতায় অবশেষে সেই সুযোগ পেয়েছেন চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে আটকে যাওয়া বিদেশি নাগরিকরা।