মাদকসেবী আসামী নিয়ে পুলিশের বেকায়দা নতুন কিছু নয়। এসব অসুস্থতা নিয়ে হরহামেশায় পুলিশের বিরুদ্ধে নানারকম নেতিবাচক প্রশ্ন তোলেন আসামীর স্বজনরা।
এমনই এক সমস্যা দেখা দেয় আরএমপি এয়ারপোর্ট থানায়। বুধবার সকালে আটককৃত মমিনুল ইসলাম নামের এক মাদকসেবী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়।
ডাক্তার তাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারেন মমিনুল একজন মাদকসেবী। কিন্তু তার পরিবারের লোকজন সে মাদকসেবী মানতে নারাজ। তারা রটিয়ে দেয় পুলিশের মারপিটে মমিনুল অসুস্থ হয়ে পড়ে। অথচ মমিনুলকে সুস্থ অবস্থায় আদালতে নেয়া হয়েছে।
কোর্টে চালান দেওয়ায় আগে আসামী মমিনুলের সাথে এ প্রতিবেদকের। মমিনুল ইসলাম জানান, তিনি মাস ছয়েক আগে ভুটভুটির সাথে এক্সিডেন্ট করে। এছাড়াও সে নিয়মিত গাঁজা সেবন করে। তাই মাঝে মাঝে তার শরীরে খিঁচুনি দেয়।
বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে এই সমস্যা দেখা দিলে এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ তাকে ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসা গ্রহণ করে সে সুস্থ আছে বলেও জানান।
এ ব্যাপারে ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আরিফুর রহমান জানান, রোগীর শরীরে খিঁচুনি জনিত ও হার্টের সমস্যা পরিলক্ষিত হলে, প্রাথমিক অবস্থায় অক্সিজেন সাপোর্ট দেয়া হয়। রোগীর শরীরে আঘাতের কোন আলামত পাওয়া যায়নি। সেই এখন সুস্থ। তাকে রিলিজ দেয়া হয়েছে।
পবা থানার অফিসার ইনচার্জ ইমরান হোসেন জানান, মোটরসাইকেল চুরির মামলায় আসামি মমিনুলকে গতকাল রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। তার নামে আরও ৭টি বিভিন্ন থানায় মামলা আছে।
হঠাৎ আসামি আজকে সকালে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শেষে তাকে কোর্টে চালান করা হয়েছে।