দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহীর ৬ টি আসনের মধ্যে তিনটিতেই এসেছে নতুন মুখ। এনিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। নতুন মুখ আসায় তাদের অনুসারিরা ব্যাপক আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেছে।
রোববার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
নতুন মুখ হিসেবে যাদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে তারা হলেন, রাজশাহী- ২ সদর আসনে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল। ২০১৮ সালে এই আসন থেকে মনোনয়ন পান আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য রাবির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর আব্দুল খালেক।
রাজশাহী-৩ আসনে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ। এই আসনে টানা দুই বারের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন ছিটকে পড়লেন। তার বিরুদ্ধে জামায়াত প্রীতি , দলীয় নেতাকর্মীদের নির্যাতন, অবৈধভাবে জায়গা-জমি ও পকুর দখলসহ নানান বির্তকিত কর্মকান্ডে জড়িয়ে পরার অভিযোগ আছে।
রাজশাহী-৪ আসনে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ। এই আসনে টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন এনামুল হক।
তাকে বাদ নিয়ে এবার নতুন মুখ দেওয়া হয়েছে। এনামুল হকের বিরুদ্ধে একাধিক নারী কেলেঙ্কারীর ঘটনাসহ বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকান্ডের অভিযোগ আছে।
এবার রাজশাহীর ছয়টি আসনের মধ্যে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে তিনবারের এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী, রাজশাহী-২ (সদর) আসনে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, রাজশাহী-৪ (বাগমারা) অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দুইবারের সাবেক এমপি আব্দুল ওয়াদুদ দারা এবং রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) চতুর্থবারের মত নৌকার টিকিট পেয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
এবার রাজশাহীর ছয়টি আসন থেকে ৪৭ জন দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দেন। গত ২৩ নভেম্বর আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা প্রার্থী চুড়ান্ত করা হয়। রোববার গণভবনে ডেকে নিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করার নির্দেশনা দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কোনো অবস্থাতেই বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়া যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, যাকেই নৌকার মনোনয়ন দেয়া হবে তার জন্যই সবাইকে কাজ করতে হবে।
চলতি মাসের ১৫ তারিখে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হবিবুল আউয়াল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন ফরম দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়নের আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত এবং ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি।