একতরফা নির্বাচন জনগণ হতে দেবে না হুঁশিয়ারি দিয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘জনবিচ্ছিন্ন আওয়ামী লীগ আবারো একটি পাতানো নির্বাচনের পথ ধরে এগোচ্ছে। তারা ভেবেছে ১৪ ও ১৮ সালের মতো সাজানো নির্বাচন করে পার পেয়ে যাবে। কিন্তু তা এবার হতে দেওয়া হবে না। সরকারের নীল নকশার এই নির্বাচন জনগণ যেকোনো মূল্যে রুখে দেবে। ভোটারবিহীন নির্বাচনের পরিকল্পনা জনগণ গুঁড়িয়ে দেবে।’
বুধবার সকাল সাড়ে ৬টায় রাজশাহীর তেরোখাদিয়া স্টেডিয়ামের সামনের সড়কে ‘ঝটিকা’ মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রিজভী এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ‘নব্বইয়ের ৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচার এরশাদ যেমন জনরোষ থেকে বাঁচতে পারেনি, পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিল। এই সরকারও জনরোষ থেকে বাঁচতে পারবে না। বিজয়ের মাসেই তাদের পতন গণঅভ্যুত্থানেই ঘটবে।’
শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের এক দফাসহ ‘একতরফা’ নির্বাচনের তফসিল বাতিলের দাবিতে দশম দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের প্রথম দিনে ‘আত্মাগোপনে’ থাকা রিজভী এই প্রথম ঢাকার বাইরে ঝটিকা মিছিল করলেন। গত সোমবার তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। এর আগে প্রায় সবগুলো অবরোধে রিজভী ঢাকার বিভিন্ন সড়কে ‘ঝটিকা’ মিছিল করেন।
রিজভীর নেতৃত্বে মিছিলটি তেরোখাদিয়া স্টেডিয়াম সড়ক থেকে শুরু হয়ে সিটি হাট রোডের ডাবলার মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দিয়ে রিজভী চলে যান।
মিছিল শেষে রিজভী বলেন, ‘জনগণ আজকে জেগে উঠেছে। রাজপথের তীব্র আন্দোলন শুরু হয়েছে। দেশের মানুষ, ছাত্র-জনতা বিজয় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকবে, বাড়ি ফিরে যাবে না।’
এ সময় বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, রাজশাহী যুবদলের সদস্যসচিব রেজাউল করীম টুটুল, যুগ্ম আহ্বায়ক সাদ্দাম হোসেন, শাহনাজ খুরশীদ রিজভী, রনি প্রাং, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শামীম সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান স্বৈরশাসক এইচ এম এরশাদের পতন হয়েছিল। এ দিনটিকে বিএনপিসহ গণতান্ত্রিক দলগুলো ‘গণতন্ত্র দিবস’ হিসেবে প্রতিবছর উদযাপন করে আসে। তবে এবার আন্দোলন থাকায়, দিবসটি ঘিরে বিএনপির আলাদা কোনো কর্মসূচি নেই।