নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমকে সতর্ক করা হয়েছে। সোমবার বিকালে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও রাজশাহীর সিনিয়র সহকারী জজ মো. সেফাতুল্লাহ এ নির্দেশনা দেন।
নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি সূত্রে জানা গেছে, শোকজ নোটিশ পাওয়ার পর গত রোববার বিকালে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির কার্যালয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তার প্রতিনিধি ও অ্যাডভোকেট মমিনুল ইসলামকে দিয়ে লিখিত জবাব দাখিল করেন। লিখিত ব্যাখ্যায় শাহরিয়ার আলম আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তবে জবাবে শাহরিয়ার আলমের পক্ষে তার প্রতিনিধি বলেন, ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে, যেন মার্জনা দৃষ্টিতে দেখা হয়। পরে সোমবার বিকালে আদালত এক আদেশে তাকে কারণ দর্শানোর দায় থেকে অব্যাহতি দিয়ে ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড না করতে তাকে সতর্ক করা হয়।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমকে ব্যাখ্যা দিতে তলব করা হয়। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বিভিন্ন গণমাধ্যম ও ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি জানতে পেরেছে, গত ২ ডিসেম্বর রাতে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রতীক বরাদ্দ করার আগেই চারঘাটের ফরহাদ আলাউদ্দীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে জনসভা করেন শাহরিয়ার আলম।
ওই জনসভায় তিনি সাবেক সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী রাহেনুল হকের কর্মী ও পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে জনসমক্ষে বিভিন্ন উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী ১৭ ডিসেম্বরের পর মেরাজকে এলাকা ছাড়া করতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন। এ হুমকির বিষয়ে গত ৫ ডিসেম্বর মেরাজ চেয়ারম্যান জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ দেন।
শাহরিয়ার আলমকে দেওয়া শোকজ নোটিশে আরও বলা হয়, ওই বক্তব্যের মাধ্যমে শাহরিয়ার আলম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালার (২০০৮) একাধিক ধারা লঙ্ঘন করেছেন, যা নির্বাচনপূর্ব অনিয়ম হিসেবে গণ্য হয়। এ ব্যাপারে কেন তার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হবে না, সে ব্যাপারে রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় সশরীর বা প্রতিনিধির মাধ্যমে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছিল।