২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৭:২৩:৩০ অপরাহ্ন
রাশিয়া-ভারতের ওপর ভর করে একতরফা নির্বাচন: রিজভী
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০-১২-২০২৩
রাশিয়া-ভারতের ওপর ভর করে একতরফা নির্বাচন: রিজভী

সরকার রাশিয়া ও ভারতের ওপর ভর করে একতরফা নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। 


তিনি বলেন, জাতি এক ভয়ংকর জঙ্গলের মধ্যে বাস করছে। যেখানে চারদিক ঘিরে আছে ভয় ও আতঙ্কের দেওয়াল। এ ভয় ও আতঙ্ক তৈরি করাই হয়েছে একদলীয় ভোট ও ভোটারহীন নির্বাচন নিশ্চিত করতে। সরকার ভাবছে, রাশিয়া ও ভারত আছে তাদের সঙ্গে। তাহলে আর ভয় কিসের? তারা সমর্থন দিলে কিসের ভোট, ভোটার, স্বচ্ছ নির্বাচন? 


মঙ্গলবার বিকালে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। 


রিজভী বলেন, রাশিয়া ও ভারতের কর্তাব্যক্তিরা মাঝে-মধ্যে বিবৃতি দিচ্ছেন। বাংলাদেশে গণতন্ত্র থাকুক বা না থাকুক, তাতে ভারতের কিছু যায়-আসে না। আর রাশিয়ার তো মোটেও যায়-আসে না। আজকে তাদের সমর্থনে আওয়ামী লীগের পোয়াবারো। ভারত নিজে গণতান্ত্রিক দেশ কিন্তু অন্য দেশের গণতন্ত্র বা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বা গণতান্ত্রিক সমাজ গঠিত হোক তা তারা চাইছে না। যে কজন কর্তাব্যক্তি এসেছেন তারা প্রত্যেকেই জনগণের ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে জনসমর্থনহীন সরকারকে সমর্থন দিয়েছেন। ভারতের কাছ থেকে তো এটা আশা করা যায় না। কিন্তু যারা আধিপত্যবাদী শক্তি তারা সব সময় আশপাশের ছোট দেশগুলোকে কবজা করতে চায়। 


সরকার এখন জঙ্গি ও নাশকতার নাটক করবে দাবি করে তিনি বলেন, ট্রেনের আগুনের ঘটনা কে করেছে তা এখন জনগণের কাছে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। আর পুলিশ কমিশনার কোনো তদন্ত না করেই বলে দিলেন, এটা অবরোধ-হরতালকারীরা করেছে। অবরোধ-হরতালকারীদের ওপর দায় চাপানো এটা পূর্বপরিকল্পিত। এমনভাবে সরকার এখন জঙ্গি নাটক করবে, নাশকতার নাটক করবে। সেটা এখন বাস্তবে প্রতিফলিত হতে দেখা যাচ্ছে। রেলওয়ের ঘটনাটাও তাই।


রিজভী বলেন, দেশে সাধারণ মানুষ ও বিরোধী দল গণতন্ত্র ফেরানোর জন্য, ব্যক্তি স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য লড়াই করছে। সবাই আতঙ্কে আছে। কেউ সরকারের ন্যূনতম সমালোচনা করলে ডানদিকে-বামদিকে তাকান, কেউ শুনল কিনা? একাত্তর সালে এজন্যই এত মানুষের প্রাণ গেল? ৫২-৫৩ বছর পরও ক্ষমতাসীনদের ভয়ে সবসময় কুণ্ঠিত থাকতে হবে? 


তিনি আরও বলেন, দেশে সাধারণ মানুষের কোনো ক্ষমতা নেই, সাধারণ মানুষ বন্দি। শেখ হাসিনার পক্ষে আজ গোয়েন্দা সংস্থাগুলো গোটা সমাজ, গোটা রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণ করছে। কখন কার বাসায় ধেয়ে চলে যাবে-যাকে লক্ষ্য করে যাবে, তাকে না পেলে তার ছোট ভাইকে ধরবে, না হলে তার বাবাকে ধরবে, না পেলে তার স্ত্রীকে ধরে নিয়ে যাবে। এতে একাত্তর সালে খানসেনাদের বর্বরতা থেকে কতটুকু পার্থক্য রয়েছে? জনিকে ক্রসফায়ারে হত্যা করেছে ২০১৫ সালের আন্দোলনে। কে করেছে? দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এবারে জনির বয়স্ক বাবাকেও ধরে নিয়ে গেছে। দেশব্যাপী এই পরিস্থিতি।


সংবাদ সম্মেলনে রিজভী জানান, সোমবার দুপুর থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত সারা দেশে ২২৫ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ সময়ে ৮ মামলায় ৭৯৫-এর বেশি নেতাকর্মীকে আসামি করেছে।


শেয়ার করুন