ভোট বর্জনের আহ্বানে ও অবরোধের সমর্থনে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা।
রোববার সকালে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জামায়াতের উদ্যোগে পৃথকভাবে এ মিছিল হয়। এর মধ্যে উত্তরে ফার্মগেট, মিরপুর ৬০ ফুট, মোহাম্মদপুর, শেওড়াপাড়া, মালিবাগ, শেরেবাংলা নগর, রামপুরা, ভাসানটেকসহ ১২ স্থানে এবং দক্ষিণ ঢাকার গেণ্ডারিয়া, খিলগাঁও, সেগুনবাগিচা, ধানমণ্ডি, মাতুয়াইল, জুরাইন-দয়াগঞ্জ সড়কসহ বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধের সমর্থনে মিছিল হয়।
সকালে ঢাকা মহানগর উত্তর মিরপুর অঞ্চলের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। তাদের মিছিলটি কল্যাণপুরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পথসভার মধ্য দিয়ে শেষ হয়। উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাহফুজুর রহমান বলেছেন, সরকারের সাজানো, পাতানো ও প্রহসনের নির্বাচন প্রতিহত করতে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে এসেছে। তারা সর্বাত্মক অবরোধের মাধ্যমে সারা দেশ অচল করে দিয়ে পাতানো নির্বাচনের প্রতি গণঅনাস্থা জানিয়েছে। আর তারা কথিত নির্বাচন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত কোনোভাবেই রাজপথ ছাড়বে না।
ফার্মগেটে সড়ক অবরোধ করে মিছিল ও পিকেটিং করেছেন উত্তরের হাতিরঝিল-তেজগাঁও অঞ্চলের কর্মীরা। এতে নেতৃত্ব দেন উত্তরের প্রচার-মিডিয়া সম্পাদক আতাউর রহমান সরকার। মিরপুর ৬০ ফুট রাস্তায় অবরোধের সমর্থনে মিছিল করেছেন কর্মীরা।
উত্তরা এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছেন নেতাকর্মীরা। এই মিছিলে নেতৃত্ব দেন উত্তরের মজলিশে শুরার সদস্য এসকে রতন ও মো. সলিম। অবরোধের সমর্থনে মোহাম্মদপুর মিছিল করেছেন কর্মীরা। এতে নেতৃত্ব দেন উত্তরের মজলিশে শুরা সদস্য মশিউর রহমান।
এদিকে অবরোধের সমর্থনে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নেতাকর্মীরা। সকালে গেণ্ডারিয়ায় সড়ক অবরোধ মিছিল করেছেন নেতাকর্মীরা।
এ সময়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য কামরুল আহসান হাসান বলেন, সরকার ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আরেকটি প্রহসনের নির্বাচন করতে সব ধরনের আয়োজন সম্পন্ন করেছে। আওয়ামী লীগ নিজেদের বিরুদ্ধে নিজেরাই ডামি প্রার্থী দিয়ে এই নির্বাচনকে তামাশায় পরিণত করেছে। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচনই দেশের জনগণ মানবে না। তারা যে কোনো মূল্যে ৭ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচন প্রতিহত করবে।