২০২৩ সালের আইসিসি বর্ষসেরা উদীয়মান পুরুষ ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতেছেন নিউজিল্যান্ডের তরুণ তুর্কি রাচিন রবীন্দ্র। এ পুরস্কারের লড়াইয়ে তিনি পেছনে ফেলেছেন ভারতের যশস্বী জসওয়াল, দক্ষিণ আফ্রিকার জেরাল্ড কোয়েৎজে ও শ্রীলংকার দিলশান মাদুশঙ্কাকে পেছনে ফেলেছেন এই কিউই অলরাউন্ডার।
অপরদিকে বাংলাদেশের মারুফা আক্তার, ইংল্যান্ডের লরেন বেল ও স্কটল্যান্ডের ডার্সি কার্টারকে পেছনে ফেলে মেয়েদের ক্রিকেটে বর্ষসেরা উদীয়মানের স্বীকৃতি পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ফিবি লিচফিল্ড।
বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জয়ীদের নাম ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
গত বছর শ্রীলংকার বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয় নিউজিল্যান্ডের তরুণ ক্রিকেটার রাচিনের। এরপর বছর জুড়ে ব্যাটে, বলে আলো ছড়িয়েছেন তিনি। সবশেষ বিশ্বকাপেও দারুণ পারফরম্যান্স করেছিলেন। এবার পেলেন আইসিসিরও স্বীকৃতি। হয়েছেন ২০২৩ সালের আইসিসির বর্ষসেরা উদীয়মান ক্রিকেটার।
বর্ষসেরা উদীয়মান ক্রিকেটার হওয়ার দৌড়ে রাচিনের সঙ্গে ছিলেন সাউথ আফ্রিকার জেরাল্ড কোয়েটজি, শ্রীলংকার পেসার দিলশান মাদুশাঙ্কা, ভারতীয় ব্যাটার ইয়াশভি জয়সওয়াল। তাদের পিছনে ফেলেই বিশ্বকাপে আলো ছড়ানো রাচিন পেয়েছেন আইসিসির থেকে এই পুরুষ্কার।
সবশেষ বিশ্বকাপে রাচিন ছিলেন দুর্দান্ত। আসরের প্রথম ম্যাচেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১২৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। এমনকি কিউইদের হয়ে আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন। তিনটি সেঞ্চুরি ও দুটি হাফসেঞ্চুরিতে করেছেন ৫৭৮ রান। বল হাতে নিয়েছেন পাঁচটি উইকেট।
বর্ষসেরা উদীয়মান ক্রিকেটার হয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত রাচিন বলেন, এটি স্পষ্টতই একটি বিশেষ অনুভূতি। আপনি যখনই কোনো কিছুর জন্য আইসিসি কর্তৃক স্বীকৃত হবেন, সেটা বিশেষ কিছু। গত বছরটা দারুণ চাপের মধ্যে কেটেছে, বিভিন্ন পরিবেশে এত বেশি ক্রিকেট খেলার সুযোগটা পাওয়াটা বিশেষ কিছু ছিল।
অন্যদিকে, মেয়েদের ক্রিকেটে বাংলাদেশের মারুফা আক্তার, ইংল্যান্ডের লরেন বেল ও স্কটল্যান্ডের ডার্সি কার্টারকে টপকে বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতেছেন অস্ট্রেলিয়ার ফিবি লিচফিল্ড।
২০ বছর বয়সী লিচফিল্ডের ২০২৩ সালের শুরুটা হয়েছিল ওয়ানডেতে পাকিস্তানের বিপক্ষে টানা দুই অর্ধ-শতক হাঁকিয়ে। বছরজুড়ে খেলা ১৩ ওয়ানডেতে প্রায় ৫৪ গড়ে বাঁহাতি এই ব্যাটার ৪৮৫ রান করেন, যার মধ্যে রয়েছে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১০৬ রানের ইনিংস। এছাড়াও অক্টোবরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি অভিষেকে ১৯ বলে ৫ ছক্কায় ৫২ রানের অপরাজিত এক বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।