‘সরকার সীমান্ত অরক্ষিত রেখে দেশের মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।
তারা বলেন, ‘এই সরকার বিদেশি শক্তির কাছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব জলাঞ্জলি দিয়েছে। বিদেশি আনুকূল্যে তথাকথিত নির্বাচনের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতে গিয়েছেন। কিন্তু আমাদের সীমান্ত, পানি সমস্যাসহ সীমান্তে হত্যা নিয়ে কোনো কথা তিনি বলতে পারছেন না। বিএসএফের গুলিতে বিজেপি সদস্যসহ বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যার ঘটনায় সরকারের নীরবতা চলছে। মিয়ানমারে উদ্ভূত গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতিতে জান্তা সরকারের বোমার আঘাতে বাংলাদেশের দুজন সাধারণ মানুষও যখন নিহত হয়, তখনও সরকার নীরবই থাকে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবর্ষণের বিষয় এরা কোনো স্বাধীন আর রাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করতে পারেনি। এদের হাতে এ দেশের সার্বভৌমত্ব নিরাপদ নয়, মানুষের জীবনও নিরাপদ নয়।’
শুক্রবার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবেব সামনে ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও অরক্ষিত সীমান্তে প্রতিবাদে’ গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশে নেতারা এসব কথা বলেন।
মঞ্চের নেতারা বলেন, ‘ডামি নির্বাচনের সরকার বাজারে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে হাঁকডাক দিলেও এটা এখন প্রমাণিত যে, সরকারই সিন্ডিকেটের মূল পাহারাদার। এই সরকার বিগত ১৫ বছরেও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনতে পারেনি। অবৈধ ক্ষমতার নবায়ন করে আবারো কেবল হাঁকডাকই দিচ্ছে। সরকার আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিলেও আন্তর্জাতিক বাজারে যখন দাম নিম্নমুখী, তখনও সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ আনতে পারেনি। কারণ এই সিন্ডিকেটের মূলহোতা হচ্ছে সরকার। ফলে সরকারের এই হাঁকডাক যে জনগণকে কেবল ধোঁকা দেওয়ার জন্যই সেটা এখন স্পষ্ট। এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে জনগণের জীবনে নাভিশ্বাস ওঠা ছাড়া আর কোনো পরিণতি নেই। ’
বক্তারা বলেন, ‘সরকার নিজেদের মধ্যে আসন ভাগাভাগির নির্বাচনকেও কারচুপি ও সহিংসতামুক্ত করতে পারেনি। ৯০ ভাগেরও বেশি মানুষ ভোট বর্জন করলেও, এরা ব্যালটে সিল মেরে ভোট বাড়িয়ে নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য দেখানোর চেষ্টা করেছে। বাংলাদেশের মানুষ এটা কখনোই মেনে নেবে না।’
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমম্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। এ সময় বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মাহমুদ হোসেন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন শহীদুল্লাহ কায়সার, তানিয়া রব, মনির উদ্দীন পাপ্পু, মীর রেজাউল আলম, বাবুল বিশ্বাস।