ইসরাইলি বাহিনীর ওপর একাধিক হামলা চালিয়েছে হামাসের সশস্ত্র কাসসাম ব্রিগেড। রাফাহর পূর্বাঞ্চলীয় আল-সালাম এলাকায় ইয়াসিন-১০৫ রকেট দিয়ে একটি ইসরাইলি সেনাবাহী রণতরী ধ্বংস করা হয়েছে।
মঙ্গলবার টেলিগ্রাম চ্যানেলে তারা হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। খবর আলজাজিরার।
কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবায়দা বলেন, তারা গত চার দিনে ইসরাইলের ৭১টি যান পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধ্বংস করেছে।
তিনি বলেন, আমাদের যোদ্ধারা ১৬টি সামরিক মিশন পরিচালনা করে ১৬ জায়নবাদী সৈন্যকে নিশ্চিতভাবে হত্যা করেছে, আরো বেশ কয়েকজনকে আহত করেছে।
ইসরাইলি বাহিনীকে ধ্বংস করতে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করল হিজবুল্লাহ
তিনি আরও বলেন, তাদের হামলার মধ্যে ছিল ইসরাইলি অবস্থানে গোলাবর্ষণ করা, বিস্ফোরক ডিভাইস দিয়ে তাদেরকে টার্গেট করা, 'শূন্য দূরত্ব' থেকে তাদের পিছু নেওয়া এবং যেসব স্থানে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী কাজ করছে সেখানকার বাড়ি ও সুড়ঙ্গে বুবি-ট্র্যাপ করা।
কাসসাম ব্রিগেড বলেছে, রাফাহর আল-সালামে ইয়াসিন-১০৫ রকেট দিয়ে একটি ইসরাইলি সেনাবাহী রণতরী ধ্বংস করা হয়েছে। এতে কয়েকজন ক্রু সদস্য নিহত এবং অন্যরা আহত হয়েছেন। এছাড়া রাফার পূর্বাঞ্চলে ইসরায়েলি সামরিক বুলডোজার উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
তারা আরও জানিয়েছে, গাজার উত্তরাঞ্চলে জাবালিয়ার পূর্বাঞ্চলে একদল ইসরাইলি সেনা ও সামরিক যানে গোলাবর্ষণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে জাবালিয়ার উত্তর-পূর্বে ইয়াসিন-১০৫ রকেট দিয়ে মারকাভা ট্যাংক লক্ষ্য করে হামলা চালায়। পাশাপাশি জাবালিয়ার পূর্বাঞ্চলে স্নাইপারের গুলিতে এক ইসরাইলি সেনা আহত হয়েছেন। হামাসের হামলা নিয়ে ইসরাইল কোনো মন্তব্য করেনি।
এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরাইলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ৩০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। অবরুদ্ধ এই উপত্যকাটির মধ্যাঞ্চলীয় নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের একটি ভবনে ইসরাইল হামলা চালালে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।
