২৩ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার, ০৫:৩৬:১৯ অপরাহ্ন
অস্বস্তি কাটিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কে নতুন মোড়
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০-০৫-২০২৪
অস্বস্তি কাটিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কে নতুন মোড়

দক্ষিণ ও  মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর বাংলাদেশ সফরে সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। পুরাতন অস্বস্তি কাটিয়ে খোদ মার্কিন প্রশাসন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে সামনের দিকে এগোনোর উদ্যোগ নিয়েছে। এ ছাড়া দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন ঘিরে পিটার হাসসহ যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কোনো কর্মকর্তার তৎপরতায় দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে যে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছিল, তা-ই যেন মেরামত করে গেলেন ডোনাল্ড লু। তার সফরে খোলাসা হয়েছে অনেক প্রশ্নের।


তার সফরে অনেক অজানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেয়েছে বাংলাদেশের জনগণও। পাশাপাশি অর্থনীতি, জলবায়ু পরিবর্তন, শ্রম, মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ একে অপরের পাশে থাকার লক্ষ্যে কাজ করবেÑ এমন প্রতিশ্রুতি মিলেছে দুইপক্ষের আলোচনায়। তবে রাজনৈতিকভাবে সরকারবিরোধী বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের নেতা এবং সমর্থকরা হোঁচট খেয়েছে মারাত্মকভাবে।


বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বিগত সময়ে ডোনাল্ড লুসহ অন্যান্য মার্কিন প্রতিনিধির বাংলাদেশ সফরকালে সরকারবিরোধী পক্ষসহ বাকি সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে এক ধরনের উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। তবে এবারের লুর সফরটিতে সেটি ঘটেনি। সফরের আগে থেকেই দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আগ্রহ কম দেখা গেছে।


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের ঘোষিত সূচিতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে লুর সাক্ষাতের বিষয়টি ছিল না। উল্টা পুরো সফরে জলবায়ু, অর্থনীতি এবং শ্রম অধিকারের মতো বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। 

গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনপরবর্তী বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হলেও রাজনৈতিক আলাপ কম ছিল। উল্টা গত নির্বাচনকে ঘিরে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের টানাপোড়েন এবং অস্বস্তির বিষয়টি কাটানোর জন্য লু বাংলাদেশ সফর করছেন বলে খোদ মার্কিন প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছিল।


সফরত ডোনাল্ড লুর সফরসূচিতে বাংলাদেশী নারী ক্রিকেট দলের সঙ্গে খেলায় অংশ নেওয়া, আগামী বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে শুভকামনা জানানোসহ বাংলাদেশী ফুচকার স্বাদ গ্রহণসহ দেশের জনগণের সঙ্গে মিশে যাওয়ার প্রত্যয় দেখা গেছে। বাংলাদেশের মানুষের মনের সব দ্বিধা কাটিয়ে জনগণের সঙ্গে একাত্ম হওয়ার প্রচেষ্টা ছিল ডোনাল্ড লুর মধ্যে।


সংসদ নির্বাচনের আগে মার্কিন প্রশাসন বাংলাদেশে গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার নিয়ে ব্যস্ত সময়  পার করেছে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার শুরু থেকেই চেয়েছিল সংবিধানের আলোকে নির্বাচন পরিচালনা করতে। শেষ পর্যন্ত করেছেও তাই। নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন জোট নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করলে পশ্চিমা বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো যুক্তরাষ্ট্র সমালোচনা করেছিল।


কিন্তু দেশটি বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। এরপরে খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শেখ হাসিনার কাছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় অংশীদার হওয়ার ঘোষণা দিয়ে চিঠি দেন। জো বাইডেনের চিঠির ফলোআপ হিসেবে সর্বশেষ ডোলান্ড লু বাংলাদেশ সফর করেন। লুর সফরে মূলত বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। অধিকন্তু বাংলাদেশের সঙ্গে নির্বাচনকালীন অস্থিরতা কমানোর ওপর গুরুত্ব দিয়েছে দেশটি।


ডোনাল্ড লুর বাংলাদেশ সফরের আগেই মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে পিটার হাসকে ফিরিয়ে নিচ্ছে দেশটি। যদিও তার মেয়াদের আরও কিছুদিন বাকি ছিল। মূলত নির্বাচনের আগে পিটার হাসের অতি তৎপরতা ভালোভাবে নেয়নি আওয়ামী লীগ সরকার। নির্বাচনের আগের বছরে পিটার হাস নির্বাচন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার নিয়ে কোনো কোনো ক্ষেত্রে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন বলে মনে করে শেখ হাসিনা সরকার।


তবে নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তে পিটার হাস কিছুটা তৎপরতা কমিয়ে দিয়েছিলেন। এমনকি নির্বাচনের পরও তাকে আর সেই আগের মতো কর্মব্যস্ত থাকতে দেখা যায়নি। সেই কারণে বাংলাদেশের অস্বস্তি কাটাতে মার্কিন প্রশাসন নতুন রাষ্ট্রদূত পাঠাচ্ছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। আর সেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল ডোনাল্ড লুর বাংলাদেশে আসার আগেই।  

দুই বছর আগে র‌্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা, নির্বাচনের আগে মার্কিন ভিসানীতি ঘোষণা এবং  নির্বাচনকে ঘিরে অস্বস্তি কাটিয়ে সরকার এবং আওয়ামী লীগে স্বস্তি ফিরেছে। বিশেষ করে সফরকালে ডোনাল্ড লুর গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার নিয়ে গৎবাঁধা দু-একটি খ-িত বাক্য উচ্চারণ ছাড়া দৃশ্যমান কোনো কড়া বক্তব্য ছিল না। সারাবিশ্বের গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা নিয়ে কাজ করে যাওয়া জো বাইডেন প্রশাসনের তেমন তোড়জোড় ছিল না সংশ্লিষ্ট ইস্যুগুলোতে।                                                                            

বিশেষ করে বিএনপির নেতৃত্বাধীন সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ডোনাল্ড লুর প্রকাশ্য কোনো বৈঠক বা যোগাযোগ না হওয়ায় সরকারকে স্বস্তি দিয়েছে। পুরাতন বৈরিতা ভুলে নতুন করে সামনে এগিয়ে যেতে যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বানকে স্বাগত জানিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার আগ্রহ দেখিয়েছে।


বিপরীতে এতদিন ধরে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে একটা হলেও ধারণা তৈরি হয়েছিল যে, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও নির্বাচন পরবর্তীতে ভিসানীতি আরোপসহ নানা নিষেধাজ্ঞা দেবে বাংলাদেশের ওপর। সরকার চাপে ফের নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে। কিন্তু ডোনাল্ড লুর সাম্প্রতিক সফর শেষে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর আত্মবিশ্বাস চূর্ণ হয়ে গেছে এক নিমিষেই।

তিনদিনের সফরে গত মঙ্গলবার ঢাকা পৌঁছানো ডোনাল্ড লু সেদিনই নিজ দেশের কূটনীতিক, বাংলাদেশের নাগরিক সমাজ, সাংবাদিক, শ্রম অধিকার কর্মী ও পরিবেশ কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। উপস্থিতিদের কাছ থেকে লু নির্বাচন পরবর্তী বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে চান। সেখানে উপস্থিত সবাই নির্বাচনের পর বাংলাদেশের সর্বশেষ পরিস্থিতি অবহিত করেন। বক্তব্য দেওয়ার চেয়ে লু শুনেছেন বেশি।


সেই সময়ই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গত নির্বাচনের আগে অনেক পরিশ্রম করেছে। এটি নিয়ে সরকারের সঙ্গে কিছুটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছিল। এখন সেগুলো অতীত। আর অতীতকে আঁকড়ে ধরে চললে হবে না। সবার ভালোর জন্য সামনে নতুনভাবে এগোতে হবে। অবসান  হতে হবে সব ভুল বোঝাবুঝির।


আর শ্রমিক নেতাদের কাছ থেকে তিনি শ্রমিক নেতাদের ওপর যেসব মামলা দায়ের করা হয়েছিল সেগুলোর বিষয়ে জানতে চান। সেই সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশে কি নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে, সেটিও পরিবেশবিদদের কাছে জানতে চান। 

মঙ্গলবার রাতেই প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের বাসভবনে বৈঠক ও নৈশভোজে অংশ নেন তিনি। ওই সময়ে ডোনাল্ড লু বাংলাদেশে নতুন বিনিয়োগের আশ্বাস দেন। সেই সঙ্গে বাংলাদেশে বিনিয়োগকৃত অর্থের মুনাফা কিভাবে দেশে ফেরত নেওয়া সম্ভব হবে সেটি জানতে চেয়েছেন।


লু বলেন, ডলার সংকটের কারণে বর্তমানে মার্কিন ব্যবসায়ীরা লভ্যাংশের কারণে দেশে ফেরত নিতে পারছেন না। একই দিনে স্বাদ নেন বাংলাদেশের ফুচকা ও চটপটির। ওই সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের ফুচকাই পৃথিবীর সেরা। 

পরদিন বুধবার ডোনাল্ড লু পৃথক পৃথক বৈঠক করেন মন্ত্রী ও সচিবদের সঙ্গে। পরিবেশমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের ফাঁকে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করেন পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে। টানা বৈঠক শেষে বিকেলে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে এসে এক অন্যরকম সময় কাটান লু। সেখানে রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে নিয়ে ডোনাল্ড লু ব্যাটবল হাতে দেশের নারী ক্রিকেটারদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলায় মেতে ওঠেন। হাস্যোজ্বল এক ডোনাল্ড লুর দেখা মেলে বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে। আগামী বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ক্রিকেট টিমের জন্য শুভকামনাও জানান তিনি। বৃহস্পতিবার ভোর পৌনে ৪টায় তাকে বহনকারী বিমান ওয়াশিংটনের উদ্দেশে ঢাকার হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।

কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচন ঘিরে মানবাধিকার, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মতপার্থক্য দেখা দেয় আওয়ামী লীগ সরকারের। অবাধ, নিরপেক্ষ ও নির্বিঘœ নির্বাচনের স্বার্থে ভিসানীতিতে কড়াকড়ি আরোপের ঘোষণাও দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ফলে নির্বাচন শেষ হওয়ার পাঁচ মাসের মাথায় ডোনাল্ড লুর এবারের সফর সম্পর্কোন্নয়নের ইঙ্গিত বলেই মনে করা হচ্ছে।


তার বক্তব্যেই এর স্পষ্ট আভাস পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে আর কোনো দ্বিমত থাকতে পারে না। লুর এই সফর সরকারকে অনেক স্বস্তি দেবে।  

বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে ডোলান্ড লু বলেন, বাংলাদেশ সফরে এসে গত দুইদিনে আমি দুই দেশের জনগণের মধ্যে পুনরায় আস্থা স্থাপনের চেষ্টা করছি। আমরা জানি, গত বছর বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের অনেক টেনশন ছিল।


আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন (বাংলাদেশে) অনুষ্ঠানে যথেষ্ট চেষ্টা করেছিলাম। এতে কিছু টেনশন তৈরি হয়। আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটা স্বাভাবিক। আমরা সামনে তাকাতে চাই, পেছনে নয়। আমরা সম্পর্কোন্নয়নের উপায় খুঁজে বের করতে চাই। ডোনাল্ড লু আরও বলেন, আমাদের সম্পর্কের পথে অনেক কঠিন বিষয় রয়েছে, র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা, মানবাধিকার, শ্রম অধিকার ও ব্যবসার পরিবেশের উন্নয়ন।


কিন্তু কঠিন বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করার জন্য ইতিবাচক সহযোগিতার ওপর ভর করে এগিয়ে যেতে চাই। বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র, মানবাধিকার, শ্রম অধিকার কিংবা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার মতো বিষয়গুলোয় নিজেদের নীতিতে অটল থেকেই বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সংযুক্ত থেকে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে। ডোনাল্ড লুর বক্তব্যে তা-ই উঠে এসেছে।

তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, লুর সঙ্গে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে তার কোনো আলোচনা হয়নি। পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে হয়তো আলোচনা হয়ে থাকতে পারে। প্রসঙ্গত, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আগে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক হয় ডোনাল্ড লুর।


তবে র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার বিষয়টি দুই দেশের সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলেছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। দুই দেশের সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে মার্কিন সরকার বাংলাদেশকে জিএসপি সুবিধা ফিরিয়ে দিতে চায় জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই সুবিধা ফিরে পেতে হলে শ্রম আইনে কিছু সংশোধন করতে হবে বলে তারা জানিয়েছে। সেটা নিয়ে আমরা ইতোমধ্যেই কাজ করছি বলে তাদের জানিয়েছি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ডোনাল্ড লুর বাংলাদেশ সফরে অনেক কথা পরিষ্কার করে গেছেন। তিনি অনেক খোলামেলা কথা বলেছেন এ সফরে। বোঝা যায়, জাতীয় নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে কিছুটা অস্বস্তিকর অবস্থা ছিল, আস্থার ঘাটতি ছিল; এ আস্থার সম্পর্ক পুনর্প্রতিষ্ঠা করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।


শেয়ার করুন