প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় 'আত্মনির্ভরতা' অর্জনের লক্ষ্যে আরও একধাপ এগিয়ে গেল ভারতীয় সেনাবাহিনী। এই প্রথম নাগপুরের সোলার ইন্ডাস্ট্রিজ নামে একটি সংস্থা দেশটির সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে অত্যাধুনিক আত্মঘাতী ড্রোন। যার নাম নাগাস্ত্রা-১।
ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এই অত্যাধুনিক ড্রোন মূলত সীমান্তের ওপারে বা ভেতরে শত্রু শিবিরের ট্রেনিং ক্যাম্পে বা শত্রু ঘাঁটি লঞ্চপ্যাডে হামলা চালাতে অত্যন্ত কার্যকারী। সেনাদের জীবনের ঝুঁকি কমাতে এই অস্ত্র আরও বেশি ব্যবহার করা হবে।
ইতোমধ্যেই ওই সংস্থাকে ৪৮০টি ড্রোন বানানোর জন্য বলা হয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে। যার মধ্যে ১২০টি ইতোমধ্যেই হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
নাগাস্ত্র-১ মাত্র ৯ কেজি ওজনের একটি মানববিহীন যান, যা ৩০ মিনিট ধরে টানা উড়তে পারে। এর বৈদ্যুতিক প্রপালশন সিস্টেমের কারণে একে ২০০ মিটারের বেশি উচ্চতায় প্রায় শনাক্ত করা যায় না। এই আত্মঘাতী ড্রোন দিন ও রাতের নজরদারি ক্যামেরা দিয়ে সজ্জিত। ১৫ কিমি পর্যন্ত মানব কন্ট্রোলে উড়তে পারে এটি।
এছাড়া সর্বোচ্চ ৩০ কিমি পর্যন্ত অটোনোমাস মোডে ওড়ার ক্ষমতা রয়েছে নাগাস্ত্রা-১-এর।
বেঙ্গালুরুর জেড-মোশন অটোনোমাস সিস্টেমস প্রাইভেট লিমিটেড-এর সহযোগিতায় ৭৫ শতাংশেরও বেশি দেশীয় সামগ্রী দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে এই ড্রোন।
দিন ও রাতের যে কোনো সময় স্বচ্ছন্দে উড়তে সক্ষম এই নাগাস্ত্র-১। এটি বহন করতে পারে ১ কেজি পর্যন্ত বিস্ফোরক। আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, সিরিয়া, সৌদি আরব, রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মতো দেশগুলোতে সাম্প্রতিককালে যেভাবে ড্রোন প্রযুক্তির ব্যবহার হয়েছে, তা দেখে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন নাগাস্ত্র-১-এর সাফল্য ভারতের সামরিক অভিযানে নতুন মাত্রা যোগ করবে।