০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, রবিবার, ০৬:৩০:২২ পূর্বাহ্ন
লক্ষ্য ছিল সুপার এইট, এখন যা পাব সবই বোনাস: হাথুরুসিংহে
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০-০৬-২০২৪
লক্ষ্য ছিল সুপার এইট, এখন যা পাব সবই বোনাস: হাথুরুসিংহে

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কঠিন গ্রুপ থেকে সুপার এইটে এসেছে বাংলাদেশ। যেখানে টাইগারদের শক্ত প্রতিদ্বন্ধী ছিল শ্রীলংকা। আর সে শ্রীলংকাকে হারিয়ে সুপার এইটের পথ সুগম করে বাংলাদেশ। নেদারল্যান্ডস বাধা টপকে যাওয়াও সহজ ছিল না বাংলাদেশের জন্য। আর নিজেদের শেষ ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে হাড্ডাহাড্ডি করেই  জিততে হয় বাংলাদেশকে। 


গ্রুপপর্ব পেরোনোর লক্ষ্য অর্জন করা বাংলাদেশের জন্য সুপার এইটের যে কোনো সাফল্যই এখন ‘বোনাস’। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে এমনটাই বলছেন টাইগার হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। 


আগামীকাল সুপার এইটে নিজেদের প্রথম ম্যাচে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সুপার এইটে বাংলাদেশের হারানোর কিছু নেই জানিয়ে নির্ভার থাকার বার্তা হাথুরুসিংহের। তাই যথাসম্ভব দ্বিতীয় রাউন্ডের তিন ম্যাচ উপভোগ করতে চান তিনি।


ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে হাথুরুসিংহে বলেন, ‘আমরা যখন এই টুর্নামেন্ট খেলতে আসি, আমাদের লক্ষ্য ছিল সুপার এইট। তো আমি মনে করি সেটি আমরা দারুণভাবে (করেছি), বোলাররা আমাদের খেলায় টিকিয়ে রেখেছে। কন্ডিশনের সঙ্গে ভালোভাবে মানিয়ে নিয়েছি এবং নিজেদের পক্ষে কন্ডিশন কাজে লাগাতে পেরেছি।’


সুপার এইটের তিন ম্যাচে বাংলাদেশ খেলবে অস্ট্রেলিয়া, ভারত এবং আফগানিস্তানের বিপক্ষে। এই ফরম্যাটে শক্তির বিচারে তিনদলই বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে। হাথুরুসিংহে বলছেন, জয়-পরাজয় একপাশ রেখে তার দল চ্যালেঞ্জ জানাতে চায় প্রতিপক্ষকে।


‘সামনের দিনগুলোতে আমাদের জন্য বিষয়টা হলো, আমরা এখানে আসতে পেরে খুশি। আর এখান থেকে যা কিছু পাব, তাই আমাদের জন্য বোনাস। সেজন্য আমরা এখন অনেক স্বাধীনতা নিয়ে খেলব এবং তিন দলের প্রতিটিকেই যতটা সম্ভব চ্যালেঞ্জ জানাব।’


গ্রুপপর্বে বেশ চাপ নিয়েই খেলতে হয়েছে বাংলাদেশকে। সুপার এইটে চাপকে ‘ছুটি’ দিতে চান হাথুরুসিংহে। তার মতে, স্বাধীনতা এবং দায়িত্ব দুটোই একসূত্রে গেঁথে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।


‘আমরা এই খেলাটি শুরু করেছি কেন? উপভোগ করার জন্য। তাই উপভোগের সুযোগটি আমরা ক্রিকেটারদের থেকে ছিনিয়ে নিতে চাই না। তবে এর মানে এমন না যে, তাদের যা খুশি করার লাইসেন্স আছে। প্রত্যেকেরই নির্দিষ্ট দায়িত্ব আছে দলের প্রতি।’


‘অবশ্যই স্বাধীনতা আছে, দেশ-ক্লাব এমনকি পার্ক ক্রিকেটে খেলার সময়ও উপভোগের বিষয়টি থাকে। এজন্যই আমরা এই খেলাটি শুরু করেছি। তাই উপভোগের মন্ত্র সবসময়ই সামনে থাকবে। তবে সবারই দলের প্রতি কিছু দায়িত্ব পালন করতে হবে, আরও যোগ করেন তিনি।’


শেয়ার করুন