২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৭:১৩:৪১ অপরাহ্ন
বাংলাদেশকে কত বিলিয়ন অনুদান-ঋণ দেবে চীন, জানালেন প্রধানমন্ত্রী
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৪-০৭-২০২৪
বাংলাদেশকে কত বিলিয়ন অনুদান-ঋণ দেবে চীন, জানালেন প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশকে চীন দুই বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ অনুদান-ঋণ দেবে বলে জানিয়েছন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

চীন সফর শেষে রোববার বিকাল ৪টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অনুদান, সুদমুক্ত ঋণ, রেয়াতি ঋণ ও বাণিজ্যিক ঋণে চারটি ক্ষেত্রে সহায়তায় রাজি হয়েছে। এই চারটি প্যাকেজের আওতায় চীন বাংলাদেশকে দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ প্রদানে সম্মত হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, “চীনের প্রিমিয়ার অব দ্য স্টেট কাউন্সিল লি ছিয়াংয়ের আমন্ত্রণে দ্বিপাক্ষিক সফরে আমি গত ৮ থেকে ১০ জুলাই চীন সফর করি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী; অর্থমন্ত্রী; বেসরকারি বিনিয়োগ উপদেষ্টা; বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী; বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী; ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা এবং একটি বাণিজ্য প্রতিনিধি দল আমার সফরসঙ্গী ছিলেন।

৮ জুলাই বেইজিং পৌঁছালে বিমানবন্দরে আমাকে লাল গালিচা সংবর্ধনার মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয়।

৯ জুলাই সকালে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (এআইআইবি) প্রেসিডেন্ট জিন লিকুন আমার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। আমি এআইআইবিকে বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন, নদী খনন, জলবায়ু পরিবর্তনসহ উপযোগী খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানাই।

এরপর আমি ‘দ্য রাইজ অব বেঙ্গল টাইগার: সামিট অন ট্রেড, বিজনেস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট অপরচুনিটিজ বিটুইন বাংলাদেশ অ্যান্ড চায়না’ শীর্ষক একটি ব্যবসায়িক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করি। আমার সফরসঙ্গী ব্যবসায়ী প্রতিনিধি এবং চীনের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীরা এতে অংশগ্রহণ করেন।

সম্মেলনে আমি চীনা ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে বিশ্বের সবচেয়ে উদার বিনিয়োগ ব্যবস্থার সুবিধা নিয়ে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানাই। অবকাঠামো, আইসিটি, পর্যটন, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প, নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ জ্বালানি খাত, জলবায়ু-সহনশীল স্মার্ট ফার্মিং, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সবুজ প্রযুক্তি ও উন্নয়ন খাতে বৃহত্তর বিনিয়োগের আহ্বান জানাই।

আমি এ সময় বাংলাদেশে তিনটি বিশেষ পর্যটন অঞ্চল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা ও সেখানে চীন রিয়েল এস্টেট এবং হসপিটালিটি খাতে বিনিয়োগের সুযোগের কথা উল্লেখ করলে চীনের ব্যবসায়ী নেতারা এ বিষয়ে যথেষ্ট আগ্রহ দেখান।

চীনে বাংলাদেশ দূতাবাস, বিআইডিএ, বিএসইসি এবং চায়না ওয়ার্ল্ড সামিট উইং আয়োজিত এ সম্মেলনে চীনের ভাইস মিনিস্টার অব কমার্স লি ফেই, চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ওয়াং টং ঝু, এইচএসবিসি চায়নার প্রেসিডেন্ট ও সিইও মার্ক ওয়াং, হুয়াওয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সাইমন লিন বক্তব্য দেন এবং তাদের আগ্রহের কথা তুলে ধরেন।

এই সম্মেলনে বাংলাদেশের ১০টি কোম্পানির প্রতিনিধির সঙ্গে চীনের বিভিন্ন কোম্পানির ১৬টি সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই হয়।

৯ জুলাই বিকালে আমি চাইনিজ পিপলস পলিটিক্যাল কনসাল্টেটিভ কনফারেন্সের (সিপিপিসিসি) জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াং হুনিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করি। আমরা এ বৈঠকে আওয়ামী লীগ এবং চীনের কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ করি। দলীয় নেতাদের পারস্পরিক সফরের বিষয়েও আমরা একমত হই। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আমি চীনের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করি।

শেয়ার করুন