কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে গুলিতে নিহত চার শিশুর প্রত্যেকের পরিবারকে এক কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট আবেদন করেছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী তৈমূর আলম খন্দকার। সেখানে এসব ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমুর বুধবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করেন।
কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই বিকালে ঢাকার যাত্রাবাড়ীর রায়েরবাগ এলাকার এক বাড়িতে আব্দুল আহাদ নামের ৪ বছর বয়সি এক শিশুর চোখে গুলি লাগে। সে সময় সে বাসার বারান্দায় দাঁড়িয়েছিল।
আহাদের বাবা আবুল হাসান আয়কর বিভাগের উচ্চমান সহকারী। তাদের বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায়। ঘটনার দিন নারায়ণগঞ্জের নয়ামাটি এলাকায় বাসার ছাদে খেলার সময় ছয় বছর বয়সি রিয়া গোপের মাথায় গুলি লাগে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
সেদিন মিরপুর ১৪ নম্বরের হাউজিং স্টাফ কোয়ার্টারে বাসার বেডরুমে জানালার পাশে টেবিলে বসে পড়ালেখা করার সময় গুলিবিদ্ধ হয় ১১ বছর বয়সি সাফকাত সামির। হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাজধানীর উত্তরায় চারতলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় গুলিতে নিহত হয় ১৫ বছর বয়সী নাইমা আক্তার সুলতানা।