সরকার পতনের পর সারা দেশের মতো রাজশাহীতেও ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। গেল ৫ আগস্ট থেকে লুট হওয়া সেসব মালামাল উদ্ধারে এবার মাঠে নেমেছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
এজন্য সঙ্গে নেওয়া হয়েছে শিক্ষার্থী ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্যদেরও। এরই মধ্যে লুট করা মালামাল উদ্ধার শুরু হয়েছে।
শনিবার (১০ আগস্ট) প্রথম দিন রাজশাহী নগরীর কোর্ট বুলনপুর এলাকায় লুট হওয়া মালামাল উদ্ধারে অভিযান চালানো হয়। সকাল থেকেই হ্যান্ড মাইক নিয়ে বুলনপুর এলাকার অলিগলি ঘুরে ঘুরে সরকারি স্থাপনা থেকে লুট করা মূল্যবান মালামাল ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান তারা।
এরপর তাদের সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে মানুষজন দুপুরের পর থেকে লুট করা মালামাল ফেরত দিতে শুরু করেন। এ এলাকার পাশেই আইটি পার্ক। ঘটনার দিন সেখানে ব্যাপক লুটপাট চালানো হয়। কেউ কোনোভাবে বাধা না দেওয়ায় ভাঙচুরের পর যে যেখানে যা পান লুট করে নিয়ে যান। এতে রাষ্ট্রীয় এ স্থাপনার অনেক মূল্যবান জিনিসপত্র ও আসবাবপত্র খোয়া যায় এবং অবকাঠামোগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে আজ বিকেল পর্যন্ত প্রায় অর্ধেকের কাছাকাছি লুটপাট করা সেসব মালামাল উদ্ধার করা সম্ভব হয়। একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে এগুলো তালিকা করা হচ্ছে। তবে সবারই নাম-পরিচয় গোপন রাখা হচ্ছে। জমা দেওয়ার পর যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে হস্তান্তর করা হচ্ছে।
লুট করা মালামাল উদ্ধার অভিযান পরিচালনার সময় সেনাবাহিনীর দায়িত্বরত মেজর মোবাশ্বির হোসেন খান গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন। আমরা রেড ক্রিসেন্টসহ সহযোগী সংগঠন নিয়ে মাঠে নেমেছি। লুটপাট করা মালামাল উদ্ধার করা হচ্ছে। এরই মধ্যে বেশ কিছু মামামাল উদ্ধার হয়েছে। বাকিগুলোও উদ্ধার হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যাচাই-বাছাই শেষে সংশ্লিষ্ট মালামাল নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে অন্য এলাকায় এ কার্যক্রম চলবে।a