চাকরি জাতীয়করণসহ আনসার সদস্যদের বিভিন্ন দাবির আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সচিবালয়ের সামনে সংঘর্ষের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
রোববার রাত ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জোহা চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল করে তারা। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জোহা চত্বরে জড়ো হয়।
এ সময় ‘এইট পাশ আনসার, গায়ে হাত দেওয়ার সাহস কই পাস’, ‘আনসারের চামড়া তুলে নিবো আমরা', ‘আনসারের কালো হাত, ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘স্বৈরাচারের দালালরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘স্বৈরাচারের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’- স্লোগান দেয় শিক্ষার্থীরা।
এর আগে রোববার রাত ৯টার দিকে সচিবালয়ের সামনে কয়েক দফা ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে আনসার ও শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ বাঁধে। আনসাররা বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে আটকে মারধর করেন।
পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে আরও শিক্ষার্থী এসে ধাওয়া দিলে আনসাররা ছত্রভঙ্গ হয়ে সচিবালয় থেকে সরে যায়। এ সময় সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আনসারদের মারধরে আহত হন অন্তত ৪০ জন শিক্ষার্থী-সাংবাদিক। সংঘর্ষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহও (২৫) আহত হয়েছেন।
পরে হাসনাতকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তি আরও দুইজন হলেন- আব্দুর রহমান (৩০) ও আব্দুল কাদের (২৪)।
বিক্ষোভে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক মেহেদী হাসান মুন্না বলেন, “গত ১৬ বছরের ধরে শেখ হাসিনা ফ্যাসিস্ট কাঠামো তৈরি করেছিল। এমনকি এ কাঠামোকে দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বলয়ও তৈরি করেছে। যা অন্তবর্তীকালীন সরকারের সংস্কার করতে নিঃসন্দেহে সময় লাগবে। তাছাড়া দেশে নানা সঙ্কট বিদ্যমান।”