ঈদুল আজহার আগে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই)। এর মধ্যদিয়ে চারদিনের ছুটি শুরু হচ্ছে শুক্রবার (৮ জুলাই)।
তবে ঈদের আগে প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। যদিও কোনো কোনো মন্ত্রণালয়ের কিছু কিছু দপ্তরে উপস্থিতি ছিল কিছুটা কম। পরিবারের সঙ্গে দূ-দূরান্তে ঈদ করতে যাবেন, এমন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কেউ কেউ ছুটি নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
আগামী ১০ জুলাই মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপিত হবে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ঘুরে দেখা গেছে, উপস্থিতি মোটামুটি স্বাভাবিকই। যারা গ্রামে ঈদ উদযাপন করতে যাবেন, তাদের কেউ কেউ অফিসে হাজিরা দিয়ে ছুটেছেন লঞ্চ, বাস কিংবা রেলস্টেশনের উদ্দেশ্যে। কেউ কেউ টানা ছয়দিনের ছুটি ভোগ করতে বৃহস্পতিবার ছুটি নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
শেষ কর্মদিবসে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের সহকর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দেখা গেছে। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় শুভেচ্ছা বিনিময়ের ক্ষেত্রে আগের মতো কোলাকুলি নেই।
সচিবালয়ে গাড়ি রাখার স্থানগুলো ছিল অন্যান্য দিনের মতোই পূর্ণ। অভ্যর্থনা কক্ষে সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য দর্শনার্থীদের আনাগোনা দেখা গেলেও তা ছিল অন্যান্য দিনের তুলনায় কিছুটা কম।
এদিন সচিবালয়ে যাতায়াতকারী বিভিন্ন ক্ষেত্রের কর্তাব্যক্তিদের কাছ থেকে ঈদের বখশিশ আদায়ে লিফটম্যানদের ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঈদের উপহার বিলি করতেও দেখা যায়।
এবার ৯, ১০ ও ১১ জুলাই (শনি, রবি ও সোমবার) ঈদের ছুটি থাকবে। এর আগে ৮ জুলাই শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি। তাই এবার ঈদে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা টানা চারদিন ছুটি ভোগ করতে পারবেন। তবে ঈদের ছুটির একদিন ৯ জুলাই পড়েছে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবারে।
করোনা মহামারিতে দুই বছর পর এবার বিধিনিষেধহীন পরিস্থিতিতে ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে। তবে করোনার সংক্রমণ হার ফের ঊর্ধ্বমুখী। এ পরিস্থিতিতে বিধিনিষেধ না দিলেও কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।