উৎসবমূখর পরিবেশে বাংলাদেশ সাংবাদিক সংস্থা রাজশাহী মহানগর শাখার দ্বি বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে সংগঠনটির অস্থায়ী কার্যালয়ে চলে ভোট গ্রহণ। পরে গণনা শেষে ফল ঘোষণা করা হয়। দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে ২৫ ভোট পেয়ে সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছে গুলবার আলী জুয়েল, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুল মোমিন ওয়াহিদ হিরো পেয়েছেন ১৯ ভোট ও মীর তোফায়েল হোসেন পেয়েছেন ৫ ভোট। নির্বাচনে সর্বোচ্চ ৪৫ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান (রকি)। তার প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী হাফিজুর রহমান পান্না পেয়েছেন ৩ ভোট।
সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হাসান আল মবিন (মামুন) ৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এ.এইচ.এম.ডি জামিউল্লাহ অমিও পেয়েছেন ৬ ভোট। যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে ৩০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন বারিউল আলম শান্ত, তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শাহানুর রহমান রানা পেয়েছেন ১৮ ভোট।
এদিকে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছে আবদুল বাতেন, অর্থ সম্পাদক পদে আরিফুল হক রনি, দপ্তর-পাঠাগার ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক জাহিদ হাসান সাব্বির, সমাজকল্যাণ, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক রনজু আহমেদ, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক সোনিয়া খাতুন, জনকল্যাণ ও মানবাধিকার সম্পাদক ওয়াহিদ মুরাদ, নির্বাহী সদস্য পদে সামিউল ইসলাম, সামিউল ইসলাম শামীম ও রাশেদুর রহমান রাশেল।
বাংলাদেশ সাংবাদিক সংস্থা রাজশাহী মহানগরের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন শফিউদ্দিন আহমেদ, নির্বাচন কমিশন সচিব ছিলেন এ্যাড : মমিনুল ইসলাম বাবু ও নির্বাচন কমিশনার হিসেবে ছিলেন গোলাম মোস্তফা মামুন। অন্যদিকে, নির্বাচন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন নগর বিএনপির সদ্য সচিব মামুনুর রশিদ ও রাজশাহী মহানগর জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক এমাজ উদ্দিন মন্ডল। এছাড়াও রাজশাহীতে কর্মরত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাংবাদিকবৃন্দ ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেন৷ পরিদর্শন শেষে তারা বলেন, সাংবাদিক জাতির বিবেক। আশা করছি এ নির্বাচন থেকে যোগ্য নেতৃত্ব উঠে আসবে ও দেশের কল্যাণেসত্যতা তুলে ধরে নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাবে। সেই সাথে এ সংগঠনকে গতিশীল করার লক্ষ্যে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সর্বোচ্চ কাজ করবে নির্বাচিত নেতৃবৃন্দ। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সাংবাদিক সংস্থা রাজশাহী মহানগরের সদস্য সংখ্যা ৪৯। কমিটিতে মোট ১৩টি সাংগঠনিক পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৪ টি পদে প্রতিদ্বন্দীতা হয় ও ৯ টি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন প্রার্থীরা।